রাজ্য তথা দেশের সেরা স্কুলের শিরোপা পেয়েছে দুর্গাপুরের নেপালিপাড়া হিন্দি হাই স্কুল। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কলিমুল হক পেয়েছেন জাতীয় শিক্ষকের পুরস্কার। সেই স্কুলেই বিপত্তি। ক্লাসে বসে সিগারেটে সুখটান দেওয়ার অভিযোগ উঠল নবম শ্রেণির দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কিন্তু ছেলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মানতে রাজি নন ছাত্রের বাবা-কাকা। স্কুলে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত ২২ অগস্ট। স্কুলের পোশাকে শ্রেণিকক্ষে বসেই সিগারেট টানছিল ওই দুই ছাত্র। অভিযোগ এমনই। সেই সময়েই ক্লাসে যান শিক্ষক। হাতে নাতে ধরা পড়ে যায় দু’জন। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, দুই ছাত্রের মুখেও সিগারেটের গন্ধ ছিল। এমনকী ব্যাগ থেকেও সিগারেটের টুকরো পাওয়া গিয়েছে। পরের দিন দুই ছাত্রের অভিভাবককে ডেকে পাঠানো হয় স্কুলে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এক ছাত্রের বাবা ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু অন্য এক ছাত্রের বাবা-কাকা দোষ মানতেই চাননি। তাঁদের ছেলে যে সত্যিই সিগারেট টেনেছে, তার প্রমাণ চান তাঁরা। কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানান, এমন প্রমাণ দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁরা কোনও ছাত্রের ক্ষতি চান না। সেই জন্যই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে জানিয়ে দেন স্কুলের শিক্ষকরা। বরং সতর্ক করা হচ্ছে। অভিযোগ, এই কথা শুনেই তাণ্ডব শুরু করেন ওই ছাত্রের বাবা। দরজার লোহার গ্রিলে লাথি মারেন। শিক্ষকদেরও ধাক্কা দেন। এমনকী প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এর পরে ২৫ অগস্ট কোক-ওভেন থানায় ওই ছাত্রের অভিভাবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক কলিমুল হক বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি স্কুলে ছিলাম না। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।’ স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি মকুটকান্তি নাহা বলেন, ‘ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। ছাত্ররা ভুল করলে শিক্ষকরা বকবেন। প্রয়োজনে অভিভাবকের মতো শাসন করবেন। কিন্তু এমন আচরণ বরদাস্ত করা যায় না। তাঁদের উচিৎ, স্কুলে এসে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’