• ‘কাঠের মালা পরে চলে আসেন ভাতা নিতে…’, বিতর্কিত মন্তব্য মহুয়ার, বিজেপি বলছে, ‘সরকারি তহবিল...’
    এই সময় | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে দু’দিন আগেই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে তাঁর নামে। ফের তাঁর একটি বক্তব্যের ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন) তুলে ধরে তোপ বিজেপির। অভিযোগ, করিমপুরের একটি সভা থেকে নমঃশূদ্র, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের উদ্দেশে ‘অপমানজনক’ মন্তব্য করেছেন তিনি। সেই ভিডিয়ো তুলে ধরে তৃণমূল নেত্রীকে চরম আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই বক্তব্য নিয়ে মহুয়ার সমালোচনা করেছেন।

    রবিবার এক্স হ্যান্ডলে অমিত মালব্য একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সেখানে দাবি করা হয়, ২৮ অগস্ট করিমপুর-২ ব্লকের একটি মিটিংয়ে বক্তব্য রাখছিলেন মহুয়া। ভিডিয়োতে মহুয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘সারা বছর তৃণমূলী আর ভোটের সময় সনাতনী। এটা কী অঙ্ক ভাই!’

    মহুয়ার বক্তব্য, রাজ্যের একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়েও বিভিন্ন শ্রেণি, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিচ্ছেন না। কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলেন, ‘এক একটি এসসি বুথে, নমঃশূদ্র বুথে, মতুয়া বুথে ১০০ জন ভোটার থাকলে ৮৫টা বিজেপি, ১৫টি অন্যান্য দলের ভোট। কাজের সময়ে মমতা, রাস্তার সময়ে মমতা…।’এখানেই শেষ নয়। বিশেষ সম্প্রদায়ের উদ্দেশে মহুয়া বলেন, ‘কাঠের মালা পরে চলে আসেন তো ভাতা নিতে, ভোটের সময় কী হয়? শুনলে খারাপ লাগলেও বাস্তব কথা বলছি।’ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা উঠে আসে তার বক্তব্যে।

    মহুয়ার বক্তব্যের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, ‘তিনি তফসিলি জাতি, নমঃশূদ্র এবং মতুয়াদের অপমান করছেন, এমন ভাবে কথা বলছেন যেন সরকারি তহবিল তৃণমূলের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। বিজেপিকে বিপুল সংখ্যক ভোট দেওয়ার জন্য তাঁদের উপহাস করছেন।… এটা হিন্দু বিরোধী, জাতি বিদ্বেষী ভাষণ। এই বক্তব্যের কোনও ক্ষমা হয় না।’

    তৃণমূল সাংসদের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘আমাদের আরাধ্য দেবী মা কালীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য থেকে শুরু করে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মাথা কেটে দেওয়ার মতো মন্তব্য করেছেন। লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরেও যাঁর লজ্জা নেই, তিনি এই সব কথাই বলবেন।’ যদিও এ বিষয়ে ‘এই সময় অনলাইন’ মহুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। তবে ভিডিয়োটি ভুয়ো বলেও উড়িয়ে দেননি তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)