• ‘হাঁটুর মালাইচাকি ভেঙে দিন’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসায় উসকানি বনগাঁর বিজেপি নেতার
    প্রতিদিন | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ছাব্বিশের ভোটের আগে উত্তপ্ত বনগাঁর রাজনৈতিক আবহাওয়া। বিজেপি সাংসদের সামনেই উসকানিমূলক মন্তব্য সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতির। শনিবার এক কর্মিসভা থেকে সাংসদের সামনেই দেবদাস মণ্ডলের হুঁশিয়ারি, তৃণমূলের কেউ বিজেপি কর্মীদের গায়ে হাত দিলে সেই কর্মীর হাঁটুর মালাইচাকি ভেঙে দিন। এরপর এনিয়ে মামলা হলে, তার খরচ বহন করবেন বলেও জানান। তাঁর এহেন মন্তব্য নিয়ে স্বভাবতই শোরগোল শুরু হয়েছে জেলায়। তৃণমূল অবশ্য বিজেপি নেতার এসব হুঁশিয়ারিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। জেলা পরিষদের সদস্য তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা শুভজিৎ দাসের প্রতিক্রিয়া, ”ওরা ভাঙে, আমরা গড়ি।”

    শনিবার বিকেলে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কর্মীদের নিয়ে একটি সভা ছিল বিজেপির৷ সেখানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। ছিলেন এলাকার বিধায়ক, নতুন জেলা সভাপতি বিকাশ ঘোষ। এঁদের সকলের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলার প্রাক্তন সভাপতি দেবদাস মণ্ডল দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ”যদি কোনও তৃণমূল কর্মী বিজেপি কর্মীর গায়ে হাত দেয়, লাঠি দিয়ে মালাইচাকি ভেঙে দেবেন৷”

    দেবদাস মণ্ডলের এই বক্তব্যকে সমর্থন করতে গিয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি বিকাশ ঘোষ বলেন, ”তৃণমূলের নেতা বা কর্মীরা যদি বিজেপির কোনও কর্মীর উপর আক্রমণ করে, তাহলে তারাও প্রতিক্রিয়া দেখাবে। কারণ, প্রতিটি ক্রিয়ারই প্রতিক্রিয়া আছে। বিজেপি হাতে চুড়ি পরে বসে নেই।” তাঁদের এসব উসকানিমূলক বক্তব্য সমর্থন করেছেন খোদ সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও।

    বিজেপির এসব দিয়ে ফের রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি হয়েছে বনগাঁ। এ বিষয়ে তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য শুভজিৎ দাস বলেন, ”ব্রিটিশরা যখন ভারতবর্ষে এসে অত্যাচার করত তখন তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মনীষীরা এসেছিলেন রুখে দাঁড়াতে, এটা বিজেপির অপসংস্কৃতি। বিজেপির বিষয় নতুন করে বলার কিছু নেই। ওদের কাজ ভাঙা, আমাদের কাজ মানুষের পাশে থেকে নতুন করে গড়া।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)