বিধানভবনে বিজেপির হামলা: শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অধীর
দৈনিক স্টেটসম্যান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
বিধানভবনে বিজেপির হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। শুক্রবার এই হামলার ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়নি। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বিষয়টি নিয়ে শাসক তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে ইঙ্গিত করেন। প্রশাসনকে তাঁর প্রশ্ন, ‘কোন সমঝোতায় মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়নি?’
প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তরে হামলার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে একটি সভা থেকে অধীর চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, ‘থানার দূরত্ব ১০০ মিটার, তাও পুলিশ আসতে পারল না। এই আক্রমণ ঠেকাতে পারল না। একই এলাকায় তৃণমূলের ঠেকে হামলা হলে পুলিশ কি রক্ষা করতে আসত না?’ যদিও পরে জানা যায়, শনিবার অভিযুক্ত বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তরে সদলবলে ঢুকে পড়েন রাকেশ সিং এবং তাঁর সহযোগীরা। সেখানে গিয়ে রাহুল গান্ধীর ছবিতে কালী লেপে দেন তাঁরা। এমনকি কংগ্রেসের একাধিক ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে দেন। এদিকে একই দিনে বিহারেও বিজেপি ও কংগ্রেস সংঘাত শুরু হয়ে যায়। পাটনায় রাস্তায় নেমে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখায়। পাল্টা কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় নামলে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই তীব্র নিন্দা জানায় কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওকে ঘিরে দেশজুড়ে কংগ্রেস ও বিজেপি সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে। অভিযোগ, ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ চলাকালীন বিহারের দ্বারভাঙ্গায় এক ব্যক্তি কংগ্রেসের পতাকা গায়ে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই ক্ষুব্ধ হন বিজেপি কর্মী সমর্থক তথা মোদী অনুগামীরা। এই ঘটনায় বিজেপি থানায় অভিযোগ দায়ের করে কংগ্রেসকে কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়। এরপরই শুরু হয় সংঘাত। বিজেপি’র নেতা-কর্মীরা এর প্রতিবাদে পাল্টা আক্রমণ চালায়। ভাঙচুর করে কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যালয়।