• উৎসবের মরুশুম শুরুর আগে বক্রেশ্বরকে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ, এ বার নতুন কী?
    এই সময় | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • বক্রেশ্বর মন্দির জেলার পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে খ্যাতি৷ বছরভর বহু মানুষের আনাগোনা হয় ওই মন্দির চত্বরে। উৎসবের মরশুমে সতীপীঠ-শৈবপীঠ বক্রেশ্বরে ঢল নামে পুণ্যার্থীদের। সে ক্ষেত্রে বক্রেশ্বর মন্দির-সহ সংলগ্ন এলাকাকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে তৎপর হয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন৷

    বীরভূমে শান্তিনিকতন, তারাপীঠের পাশাপাশি বক্রেশ্বরও দর্শনীয় স্থান। এখানকার উষ্ণ প্রস্রবণ মূল আকর্ষণের। এখানে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক পৃথক গরম জলের ঘাট রয়েছে । এই কারণেই এখানে এসে স্নান সেরে পুজো দিতে কারও কোনও অসুবিধা হয় না। সেখানে পুণ্যস্নান সেরে মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন ভক্তরা। তাই শুরুতেই উষ্ণ প্রস্রবণ পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে নজর দেওয়া হয়েছে৷ দুই সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল উষ্ণ প্রস্রবণ পরিদর্শন করেন৷ তাঁরা জানিয়েছেন, উষ্ণ প্রস্রবণের জলে ফিলামেন্টাস জাতীয় শ্যাওলার জন্ম হয়েছে। মানব শরীরের জন্য এই শ্যাওলা ক্ষতিকর না হলেও স্বচ্ছতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। তাই সেগুলি দ্রুত প্রতিকার করা প্রয়োজন। ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসন স্পষ্ট করেছে, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ প্রজাতির শ্যাওলার মোকাবিলায় দ্রুত কাজ শুরু করা হবে৷

    প্রশাসন ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন জেলাশাসক বিধান রায় ৷ তিনি বলেন,‘বক্রেশ্বর মন্দিরকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজও দ্রুত সম্পন্ন করা হবে৷ সেই সঙ্গে অতিথি নিবাসও পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’ পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে পাপহরা গঙ্গা উষ্ণ প্রস্রবণ সহ আরও একটি কুণ্ড বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত সংস্কারের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

  • Link to this news (এই সময়)