• দুই গ্রামে ডেঙ্গি আক্রান্ত ২৪, পরিদর্শনে গেলেন খোদ BMOH
    এই সময় | ৩০ আগস্ট ২০২৫
  • এই সময়, খড়্গপুর: ডেঙ্গি নিয়ে হঠাৎ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নারায়ণগড় ব্লকের দু'টি গ্রাম। সারা ব্লক-জুড়ে যেখানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩, সেখানে এই দু'টি গ্রামেই আক্রান্ত ২৪ জন। ঘটনা জানাজানি হতেই শুক্রবার গ্রামে পৌঁছলেন বেলদার বিএমওএইচ আশিস মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কী করণীয়, সে বিষয়েও গ্রামের বাসিন্দাদের সচেতন করেন। বিএমওএইচ বলেন, 'আক্রান্তরা বেশিরভাগই গ্রামে রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মাত্র তিনজন। তাই গ্রামে গিয়ে আমরা সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এলাম।'

    নারায়ণগড়ের নারমা গ্রাম পঞ্চায়েতের সরগেড়িয়া এবং আমবিসান গ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক দিনে হু হু করে বেড়ে যাওয়ার খবর স্বাস্থ্য দপ্তরে পৌঁছাতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুক্রবার মেডিক্যাল টিম নিয়ে পৌঁছয় সেখানে। গ্রামে নতুন কেউ জ্বরে আক্রান্ত কি না, তা খতিয়ে দেখেন। বিএমওইচ জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি বাদেও চার জনের জ্বর রয়েছে। ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য তাঁদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ কেন ওই দু'টি গ্রামে এ ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল?

    বিএমওইচ এই প্রসঙ্গে বলেন, 'ওই গ্রামে আগে কখনও ডেঙ্গি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। এ বারই প্রথম। কী ভাবে এত মানুষ আক্রান্ত হলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' গ্রামবাসীদের পাশাপাশি সরগেড়িয়া হাইস্কুলেও যান স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক থেকে অভিভাবকদের ডেঙ্গি সম্পর্কে সচেতন করেন। কোথাও যাতে জল জমতে না-দেওয়া হয়, চারদিক যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো, জ্বর হলেই হাসপাতালে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করার কথা জানানো হয়।

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চলতি বছরে ডেঙ্গি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি স্বাস্থ্য দপ্তরের। এখনও পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৬ জন। যেখানে ২০২৩ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৮০০ জন। এবং ২০২৪ সালে আক্রান্ত হয়েছিল ১৪৪০ জন। জেলার মধ্যে কয়েকটি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন অনেকে। তার মধ্যে যেমন নারায়ণগড়ে ৩৩ জন রয়েছে, তেমনই রয়েছে কেশপুরে ২৫ জন, ডেবরাতে আক্রান্ত ১৫ জন, ঘাটালে ১১ জন।

    বাকি সব এলাকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা দশের নীচে। খড়ার এবং চন্দ্রকোণা পুরসভায় একজনও ডেঙ্গি আক্রান্ত হননি বলেই স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গি বলেন, 'আমরা পরিচ্ছন্নতার উপরে জোর দিচ্ছি। মশার লার্ভা মারার জন্য শহর থেকে গ্রামে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।'

  • Link to this news (এই সময়)