সপ্তাহের শেষেও রেহাই নেই, ভাসবে কোন কোন জেলা জেনে নিন এখনই
আজকাল | ৩০ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মৌসুমি অক্ষরেখা বর্তমানে বিকানের, কোটা, গুনা, দামোহ, পেন্দ্রা রোড, সংবলপুর, পুরী হয়ে পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে আর্দ্রতা প্রবাহিত হওয়ায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় ছিল। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। দার্জিলিঙের সূর্যসেন মহাবিদ্যালয়ে ১৩ সেমি, জলপাইগুড়ির নওয়ারণুদি চা বাগানে ১২ সেমি এবং শিলিগুড়ি পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে ১১ সেমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে অতি ভারী বৃষ্টিপাত (৭–২০ সেমি) এবং দার্জিলিং, কালিম্পং ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়া (৩০–৪০ কিমি/ঘণ্টা) বইতে পারে। ৩০ অগাস্ট শনিবার জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রঝড় ও দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস। এছাড়াও ৩১ অগাস্ট জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, হুগলি ও হাওড়ায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ৩০ ও ৩১ অগাস্ট দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে বজ্রঝড়-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। ১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণবঙ্গেও একাধিক জেলায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, নদিয়ায় আজ হলুদ সতর্কতা। এই সব জেলাতেই, হালকা থেকে মাঝারি, বজ্রবিদ্যুতের সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুই জেলায় ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। শনি রবিবারেও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। জারি হলুদ সতর্কতা। তবে এখন আর দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই খবর মৌসম ভবন সূত্রে। তবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
খাস কলকাতার আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তাকবে ৩০.৮ ডিগ্রি যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দুই ডিগ্রি কম। অন্যদিকে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল, ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
এমনিতেই এবার বর্ষার প্রভাব অনেকটা বেশি। সেখান থেকে দেখতে হলে এবার আগস্ট মাসে ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। সরকারিভাবে এখনও বর্ষা বিদায় বলা যাবে না। তাই বর্ষার প্রভাব থেকে এখনই মুক্তি নেই। সেখান থেকে দেখতে হলে সেপ্টেম্বর মাসেও বর্ষার প্রভাব থাকতে পারে বলেই জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতির কারণ হল প্রতিবারই নিম্নচাপের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে বর্ষাও পিছু ছাড়ছে না। এবার পুজোতে বৃষ্টি হবে কিনা তা এখনই সঠিকভাবে বলা না গেলেও বর্ষার ভ্রুকুটি থাকছে সেকথা বলার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ে না।