• ছাব্বিশের আগে সাংগঠনিক রদবদলই লক্ষ্য, দুই বর্ধমানে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক
    প্রতিদিন | ৩০ আগস্ট ২০২৫
  • সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ছাব্বিশের আগে ব্লক, টাউন স্তরে রদবদলের লক্ষ্যে দুই বর্ধমানের জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক সেরে ফেললেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের দপ্তরে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিধায়ক, জেলা সভাপতি ও অন্যান্য শাখা সংগঠনের পদাধিকারীদের নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক হল। সূত্রের খবর, প্রথম দফায় ৮ জন বিধায়ক ও জেলার অন্যান্য পদাধিকারীদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরের দফায় বাকি ৮ বিধায়ক ও পদাধিকারীদের নিয়ে আলোচনা করেন অভিষেক। বৈঠকে মূলত বিভিন্ন ব্লক ও শহরের সভাপতি ও শাখা সংগঠনের পদাধিকারী কারা হবেন, তা নিয়ে বিধায়কদের মতামত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদার ও অন্যান্য শাখা সংগঠনের সভাপতিদেরও মতামত নেওয়া।

    ২০২১ সালের গত বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলার ১৬টি বিধানসভা আসনের সবকটিতেই জিতেছিল তৃণমূল। তবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে জেলার কয়েকটি ব্লক, পুরসভা এলাকায় বিজেপির থেকে পিছিয়েছিল তৃণমূল। সূত্রের খবর, সেই সব জায়গার পুরসভার চেয়ারম্যান, শহর বা ব্লক সভাপতির ভূমিকা খতিয়ে দেখেছে দল। সূত্রের খবর, এদিন প্রত্যেক বিধায়ক অন্যান্য পদাধিকারীকদের কাছে ব্লক ও শহরের তিনজন করে নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। অনেক বিধায়ক সেই তালিকা দেখে তাঁদের অনেককেই চেনেই না বলে দাবি করে। বিধায়করা একজন করে ব্লক সভাপতির নাম প্রস্তাব করেন। পরে সেই সব নাম খতিয়ে দেখে দল সিদ্ধান্ত জানাবে বলে এদিনের বৈঠকে অভিষেক জানিয়েছেন। এদিন অভিষেক ছাড়াও ক্যামাক স্ট্রিটের বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীও।

    রাজ্যের প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীদেরও মতামত নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। মন্তেশ্বরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনা ঘটে। যা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছছ। বিষয়টি দলের রাজ্য সভাপতির বিবেচনার উপর ছাড়া হয়েছে। তিনিই সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ও সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধান করবেন। এদিনের বৈঠকের বিষয়ে কোনও বিধায়ক বা মন্ত্রী মুখ খুলতে চাননি।

    তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান কর্মসূচি সফল করতে বিধায়কদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। এই কর্মসূচির সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী আমরা। তার জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার, সচেতনা বাড়াতে বিধায়কদের দায়িত্ব রয়েছে।” তবে ব্লক সভাপতি ও অন্যান্য পদাধিকারী নিয়োগের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)