বারাসতের সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার অধ্যাপক
দৈনিক স্টেটসম্যান | ৩০ আগস্ট ২০২৫
বারাসতের আমডাঙায় সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল শিক্ষা মহলে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পিএইচডি ডিগ্রিধারী এক সহকারী অধ্যাপককে। ধৃতের নাম নির্মাল্য ভাদুড়ী। তিনি একটি বেসরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে আমডাঙার গাদামারা হাট এলাকার একটি সোনার দোকান থেকে সোনার আংটি চুরি হয়।
দোকানদার জানান, এক ব্যক্তি নিজেকে শিক্ষক পরিচয় দিয়ে গয়না দেখতে আসেন। কিনবেন বলে দেখলেও শেষপর্যন্ত কিছু না কিনেই দোকান ছেড়ে চলে যান। পরে দেখা যায়, একটি সোনার আংটি নিখোঁজ। ঘটনার ভিত্তিতে আমডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর দক্ষিণেশ্বর এলাকা থেকে নির্মাল্য ভাদুড়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তকারীদের চমকে দিয়ে ধৃতের পরিচয় সামনে আসে। জানা যায়, তিনি উচ্চশিক্ষিত এবং আর্থিক দিক থেকেও সচ্ছল। প্রাথমিকভাবে কোনও স্বাভাবিক উদ্দেশ্যে চুরির কারণ খুঁজে না পেয়ে পুলিশ আরও গভীরে তদন্ত করে জানতে পারে, অভিযুক্ত ক্লেপ্টোম্যানিয়া নামে এক মানসিক রোগে আক্রান্ত। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা জিনিস চুরি করার একধরনের মানসিক তাড়নায় ভোগেন।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, চুরি যাওয়া আংটি হুগলির চণ্ডীতলা এলাকার শেখ আবদুল আজিম নামে এক ব্যক্তিকে বিক্রি করা হয়েছিল। তাঁকেও উত্তরপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বারাসতের এসডিপিও এক সাংবাদিক সম্মেলনে চুরির ঘটনার পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরেন। ধৃতদের বারাসত আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্লেপ্টোম্যানিয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে মানসিক চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া হবে।