• বনগাঁমুখী এসি লোকাল চালুর সঙ্গে সন্ধের ভিড় সামলাতে বিধাননগর থেকে কল্যাণী পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনের ভাবনা রেলের ...
    আজকাল | ৩০ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রানাঘাটের পর বনগাঁ। রাজ্যে আরও একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত লোকাল ট্রেন চালুর ভাবনা রেলের। ইতিমধ্যেই এসম্পর্কে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ভারতীয় রেল বোর্ডের কাছে। পূর্ব রেলের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে এখবর। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, রাজ্যে আরও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বা এসি লোকাল ট্রেন চালুর বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তাঁর কথায়, এসি লোকাল চালু করার পর যাত্রীদের থেকে যথেষ্টই সাড়া মিলেছে। সেই হিসেবে আরও বেশি এসি লোকাল ট্রেন চালুর বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। এর জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ভারতীয় রেল বোর্ডের কাছে। 

    জানা গিয়েছে, রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার নিজে চেষ্টা করছেন এই এসি লোকাল ট্রেন চালুর বিষয়ে। তিনি বলেন, 'বনগাঁ পর্যন্ত এই ট্রেনটি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি নতুন এই এসি লোকাল ট্রেনটি চালু হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে রাজ্যবাসীর সুবিধার জন্য উত্তরবঙ্গ থেকে আসা আর একটি ট্রেনের যাত্রাপথও দীর্ঘ করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি অন্যান্য আরও বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।' 

    গত ১০ আগস্ট রাজ্যে প্রথম চালু করা হয় এসি লোকাল ট্রেন। ১১ আগস্ট থেকে শুরু হয় এর বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা। যাত্রা শুরুর পর থেকেই এই ট্রেনটি ঘিরে যথেষ্ট উৎসাহ দেখা যায় যাত্রীদের মধ্যে। ভাড়া আর পাঁচটা সাধারণ লোকাল ট্রেনের থেকে বেশি হলেও গরম থেকে রেহাই পেতে এবং দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছতে এই ট্রেনের সওয়ার হচ্ছেন অনেকেই। এই ট্রেনের মোট কোচের সংখ্যা ১২। আসন সংখ্যা ১১২৫ হলেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বহু যাত্রী যাতায়াত করছেন। অন্যান্য লোকাল ট্রেনের মতো এই ট্রেনের দুটি কামরাও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। প্রতিটি কামরায় বসানো হয়েছে ৩০ টনের এসি মেসিন। নজরদারির জন্য গোটা ট্রেনটি মোড়া রয়েছে সিসি ক্যামেরায়। বিনা টিকিটে ভ্রমণ আটকাতে প্রতিটি কামরায় থাকছেন একজন করে টিকিট চেকার। আছে গার্ড এবং ট্রেন চালকের সঙ্গে আপৎকালীন প্রয়োজনে কথা বলার জন্য 'টক ব্যাক' সিস্টেম। গোটা ট্রেনের 'বডি' নির্মাণ করা হয়েছে স্টিল বা ইস্পাত দিয়ে। 

    এই এসি লোকাল ট্রেনে যাত্রীদের মালপত্র রাখার জন্য আছে বিশেষ ব্যবস্থা। সেইসঙ্গে গোটা ট্রেনেই যাতায়াতের জন্য রয়েছে 'ভেস্টিবুল'-এর ব্যবস্থা। মেট্রোরেলের মতো এই ট্রেনের দরজা প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর আগে পর্যন্ত খোলে না। স্বয়ংক্রিয় এই ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হয় গার্ড ও চালকের মাধ্যমে। 

    পূর্ব রেলের একটি সূত্র জানায়, সন্ধেবেলা কর্মস্থল থেকে ফেরার সময় বিধাননগর স্টেশনে প্রচুর সংখ্যক যাত্রী থাকেন। তাঁদের সুবিধার খাতিরে বিধাননগর থেকে কল্যাণী পর্যন্ত একটি নতুন লোকাল ট্রেন চালুর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই সম্পর্কিত চূড়ান্ত প্রস্তাব রেল বোর্ডের সম্মতির অপেক্ষায় আছে।

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুন মাসে চেন্নাই ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনটি রানাঘাট স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। একটি দূরপাল্লার ট্রেনের ইঞ্জিন এই ট্রেনটি নিয়ে আসে। রেল সূত্রে জানা যায়, ১২ কামরার এই শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা ১১০০। যাত্রীদের আপৎকালীন প্রয়োজনে থাকছে ট্রেন চালক ও গার্ডের সঙ্গে কথা বলার জন্য 'টক ব্যাক' সিস্টেম। নজরদারির জন্য গোটা ট্রেনটি মোড়া থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরায়। প্রতিটি কামরায় বসানো হয়েছে ৩০ টনের এসি মেসিন। স্টিল বডি বা ইস্পাত নির্মিত এই ট্রেনে থাকছে যাত্রীদের মালপত্র রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। সেইসঙ্গে ট্রেনের প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত যাতায়াতের জন্য থাকছে 'ভেস্টিবুল' ব্যবস্থা। ট্রেনের দরজা খুলবে বা বন্ধ হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। মেট্রো রেলের মতো এই ট্রেনের দরজাও স্টেশনে না থামা পর্যন্ত খুলবে না। চালক বা গার্ড এই বিষয়টি পরিচালনা করবেন। পূর্ব রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যখন যাত্রী সংখ্যা বাড়বে তখন ট্রেনটি দিনে আরও বেশিবার চালানো হবে। 
  • Link to this news (আজকাল)