• মুখ্যমন্ত্রীর অর্থসাহায্য মৃত শ্রমিকের পরিবারকে, পাশে কাকলি
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৯ আগস্ট ২০২৫
  • ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তা অব্যাহত। মুম্বইতে কাজ করতে গিয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশী সন্দেহে আটকে রেখে পুলিশি নির্যাতন চালানো হয়েছিল হাবড়ার পরিযায়ী শ্রমিক গোলাম মন্ডলকে। পুলিশি অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি হয় সে। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় গোলামের।

    এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে মৃত শ্রমিক পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বৃহস্পতিবার হাবড়া ১ ব্লক অফিসে মৃত শ্রমিকের বৃদ্ধা মায়ের হাতে রাজ্য সরকারের ২ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দিলেন সাংসদ। এই সময় উপস্থিত ছিলেন বারাসতের এসডিও সোমা দাস এবং বিডিও সুবীর দণ্ডপাট।

    কাকলি বলেন, ‘শুধু হাবড়া নয়,বিজেপিশাসিত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ বাঙালি শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করছে। এর মাথায় রয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার! দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল এই বাংলা এবং পাঞ্জাবের। পরিকল্পিত ভাবে বাংলাকে অপমানিত করাতে শেখাচ্ছে বিজেপি। আমরা মৃত শ্রমিক গোলাম মণ্ডলের পরিবারের পাশে আছি। মুখ্যমন্ত্রীও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।’

    পুলিশের মারধর এবং অত্যাচারের ফলে গোলামের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। উল্লেখ্য, হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের পৃথিবা পঞ্চায়েতের আনোয়ারবেরিয়া গ্রামে বাড়ি গোলামের। গত ৮ বছর ধরে তিনি মুম্বইয়ের নয়ানগরের লোধা রোডে একটি জিম সাফাইয়ের কাজ করতেন। হাবড়ার বাড়িতে থাকেন মা ছায়লা বিবি এবং ছেলে। বাংলা ভাষায় কথা বলার দায়ে বাংলাদেশী সন্দেহে গোলামকে গত ৯ জুন আটক করে পুলিশ।

    অভিযোগ, আটক করে তাঁকে মারধর করা হয়। খেতে দেওয়া হত শুধু সিঙ্গারা এবং পাউরুটি। অভিযোগ, টানা পাঁচ দিন ধরে অত্যাচারের ফলে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে ফেরেন তিনি। গত রবিবার গভীর রাতে বারাসত হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। রাজ্য সরকার এবং সাংসদের তৎপর এবং সহযোগিতায় খুশি পরিবার। মৃত শ্রমিকের মেয়ে মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘বাবাকে তো ফিরে পাব না। মাও মৃত। সংসার চালানো নিয়ে সমস্যায় ছিলাম। রাজ্য সরকারের এই সহযোগিতা আমাদের হিম্মত জুগিয়েছে।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)