পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর আসন্ন ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। এই আবহে বৃহস্পতিবার মেয়ো রোডে আয়োজিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে মমতার অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাকে বদনাম করার জন্য টাকা দিয়ে ছবি তৈরি করা হচ্ছে।
মমতার আরও অভিযোগ, বিজেপি বাংলার ইতিহাস ভুলে গিয়েছে। তাঁদের মগজে মরুভূমি। বাংলার বদনাম করার জন্য টাকা দিয়ে সিনেমা বানানো হচ্ছে। পাশাপাশি সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত অভিনেতা অক্ষয় কুমার অভিনীত বলিউড ছবি কেশরী চ্যাপ্টার ২–তে শহিদ বঙ্গসন্তান ক্ষুদিরাম বসুকে ক্ষুদিরাম সিং বলা নিয়ে ফের একবার গর্জে উঠলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘তিনি (ক্ষুদিরাম) যখন ফাঁসির মঞ্চে গান গাইলেন তখন তোমরা কোথায় ছিলে বাম-রাম-শ্যামেরা? জগাই, মাধাইরা? তোমাদের পূর্বপুরুষরা তো ব্রিটিশের দালালি করেছিল। তারপর মুচলেকা দিতে হয়েছিল।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছে, ক্ষুদিরামের ফাঁসির নথি ইতিমধ্যে পুলিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেশরী চ্যাপ্টার ২ সিনেমাতে ক্ষুদিরাম বসু ও বারীন্দ্রকুমার ঘোষের নাম ভুলভাবে উপস্থাপন করার অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ তুলেছিল, ছবিতে ক্ষুদিরাম বসুকে ক্ষুদিরাম সিং এবং বারীন্দ্র ঘোষকে বীরেন্দ্র কুমার বলে দেখানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আগেও সরব হয়েছিলেন মমতা। এবার মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকেও এই ইস্যুতে তোপ দাগলেন তিনি।
অন্যদিকে, পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর দ্য বেঙ্গল ফাইলস সিনেমাটি ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এবং নোয়াখালি দাঙ্গার উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, এই সিনেমায় ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘রিসেন্ট কথা বলুন। ১৯৪৬ সালের কথা বলছেন কেন? তখন তো আমরা ছিলাম না, এর দায় আমরা নেব না। তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? তখন তো মায়ের পেটেও ছিলেন না। আমিও ছিলাম না। এত জ্ঞান কোথা থেকে এল? জ্ঞানভান্ডারী, জ্ঞানবৃক্ষ সব… জ্ঞানবৃক্ষ নয়, ওঁদের মগজে মরুভূমি। ওঁরা কোনও দিনও বৃক্ষ হতে পারে না। বাংলার ইতিহাস ভুলে গেছেন? হিংসা করে বাংলা ও পাঞ্জাবকে ভাগ করেছিল। ১৯৪৬ সালে কোথায় ছিলেন?’
কেরলের পাঠ্য বইতে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে বিতর্কিত তথ্য থাকায় কটাক্ষ করেছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘কেরলের পাঠ্য বইতে লেখা হয়েছে নেতাজি না কি ইংরেজদের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল!’