অনুমতি পাওয়ার একঘণ্টার মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়েছে: অভিষেক
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৯ আগস্ট ২০২৫
কলকাতার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে ফের সরব হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওবিসি মামলাকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ তুললেন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৃণমূল সরকারের দায়বদ্ধতার কথা তুলে ধরে অভিষেকের বক্তব্য, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে নির্দেশে স্থগিতাদেশ আদায় করি। যেদিন অনুমতি পেয়েছি, তার এক ঘণ্টার মধ্যেই সরকার ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।’
মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের লজ্জা, বারো ক্লাস পাশ করার পরেও বাংলাজুড়ে অনেক অভিভাবক রয়েছেন, যাঁরা রেজাল্ট বেরনোর পরেও ভর্তি প্রক্রিয়ায় কালবিলম্ব হয়েছে বলে কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন। আমাদের কাছে দুর্ভাগ্য বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে গিয়ে, তৃণমূল কংগ্রেসকে শিক্ষা দিতে গিয়ে, কলকাতা হাই কোর্টের বিচার ব্যবস্থার একাংশ, বাংলার ছাত্র-যুব সমাজের জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল।’
অভিষেকের দাবি, বিরোধীদের রাজনৈতিক খেলার জেরে রাজ্যের অসংখ্য পড়ুয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল সরকার কখনও ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের সঙ্গে খেলেনি এবং কখনও খেলবেও না।’
প্রসঙ্গত, এদিন শুধু অভিষেকই নন, বৃহস্পতিবার নিয়োগ ইস্যুতে সোজাসুজি আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ওবিসি মামলা ঘিরে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশে বিলম্বের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘জয়েন্টের রেজাল্ট বের করতে সময় লেগেছে। কিন্তু তাতে আমাদের কোনও দোষ নেই। যারা কোর্টে গিয়ে মামলা করেছে, তারা রাজনীতিতে দুর্বল, তাই ব্যাকডোরে লড়াই করে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে রাখছে।’
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে দলের ছাত্র সংগঠনকে শক্তি জোগাতে মমতার বার্তা স্পষ্ট—সংগঠনকে আরও মজবুত করে তুলতে হবে। সভার আগে বৃহস্পতিবার সকালে এক্স-এ বার্তা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠা দিবসে আমি এর নতুন-পুরোনো সকল সদস্য-সদস্যাকে জানাই জাতীয়তাবাদী অভিনন্দন।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের ছাত্র রাজনীতির মঞ্চ থেকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে এই আক্রমণ শুধু সংগঠনকে চাঙ্গা করতেই নয়, আসন্ন ভোটের আগে রাজনৈতিক বার্তাও স্পষ্ট করেছে তৃণমূল।