অর্ণব দাস, বারাসত: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসেই আর্থিক তছরূপ কাণ্ডে গ্রেপ্তার দলের ছাত্র নেতা। আমডাঙা থেকে ধৃত ওই নেতার নাম কাজী রহিম উদ্দিন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইএমআই শোধ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্যের নামে দামি বাইক কিনেছেন তিনি। কিন্তু সময়মতো ইএমআই শোধ না করার অভিযোগে আমডাঙার গাদামারা হাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে বারাসত আদালতে পেশ করে পাঁচদিনের হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। ২ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
কাজী রহিম উদ্দিন আমডাঙা এলাকার রীতিমতো ডাকসাইটে তৃণমূল ছাত্র নেতা। তিনি টিএমসিপির রাজ্য সম্পাদক তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যর ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। রহিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এলাকায় তোলাবাজি, প্রভাব খাটিয়ে নানা অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ ওঠে। চড়া সুদে অন্যকে টাকা পাইয়ে দিতে সাহায্য করত এই তৃণমূল যুব নেতা। তারপর দেনা মেটাতে না পারলে তাঁদের নামে নিজে গাড়ি কিনে নিয়ে ব্যবহার করতেন রহিম উদ্দিন। এছাড়া বেআইনিভাবে একজনের গাড়ি অন্যকে বিক্রি করে দেওয়ার মতো অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।
এলাকার বাসিন্দা আশিস তালুকদার জানিয়েছেন, “প্রথমে আমার সঙ্গে ওর ভালো বন্ধুত্ব ছিল। সেই সুযোগে আমাকে ভুল বুঝিয়ে আমার ডকুমেন্টে বাইক কিনে নেয়। আমি ডাউনপেমেন্ট করেছিলাম। ও ইএমআই চালাবে বলেছিল বাইক ব্যবহার করছিল। কিন্তু ইএমআই পরিশোধ করছিল না। এই কারণে ফিন্যান্স কোম্পানি বারবার আমার বাড়ি যাচ্ছে। এটা নিয়ে বললে উলটে রহিম উদ্দিন আমাকে হুমকি দিচ্ছে। থানার দ্বারস্থ হয়েছি যাতে আমি বাইক ফেরত পাই।” তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কাজী রহিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আমডাঙা থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি মরিচা পঞ্চায়েতের পসরডাঙা-হরবাটি এলাকায়। ধৃতের ফেসবুক প্রোফাইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে একাধিক পোস্ট রয়েছে। ছবি পোস্ট করা হয়েছে সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গেও। এই প্রসঙ্গে আমডাঙা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, “আমি তাকে চিনি না, কোনওদিন ব্লকে দলের কোনও অনুষ্ঠানে দেখিনি। নেতাদের সঙ্গে ছবি অনেকেরই থাকতে পারে, তার মানে এই নয় যে সে দল করে।”