• কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক পরিচয়ে আর্থিক প্রতারণা! পুলিশের জালে হুগলির প্রৌঢ়
    প্রতিদিন | ২৯ আগস্ট ২০২৫
  • ধীমান রায়, কাটোয়া: কেন্দ্রীয় সরকারের ভিজিলেন্স বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সোনার গয়না তৈরির ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে হুগলি জেলার এক প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। পুলিশ জানায় ধৃতের নাম অগস্ত্য পাঁজা (৬১)। তার বাড়ি হুগলি জেলার শ্রীরামপুর থানার বৈদ্যবাটি এলাকায়। বৃহস্পতিবার ভোরে বৈদ্যবাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতকে এদিনই কাটোয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে পাঁচদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতের কাছ থেকে ইতিমধ্যে ১৫ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতারণার মামলায় অভিযোগকারী মঙ্গলকোটের আমডোব গ্রামের বাসিন্দা অরূপ কুমার ঘোষ। অরূপবাবুর খতিয়ার বাসস্ট্যান্ডে একটি জুয়েলারি দোকান রয়েছে। তাঁর অভিযোগ গত বুধবার বাইক নিয়ে এক ব্যক্তি দোকানে আসে। নিজেকে কেন্দ্রীয় সরকারের ভিজিলেন্স বিভাগের আধিকারিক পরিচয় দেন। দোকানের লাইসেন্স, আয়কর বিভাগের কাগজপত্র দেখতে চান। এরপর বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে জবাবদিহি শুরু করেন। অরূপবাবু ভয় পেয়ে যান। তিনি জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি বলে,’ এক লক্ষ টাকা দিলে দোকানের সব বৈধ কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়া হবে। ‘ অরূপবাবু বলেন,” আমি বলি এক লক্ষ টাকা আমার কাছে নেই। এরপর দোকানে থাকা ২২ হাজার টাকা দিই।”

    জানা গিয়েছে, ওই জুয়েলারি দোকানে হানা দিয়ে ২২ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায় ওই অচেনা ব্যক্তি। এরপর অরূপবাবু পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিষয়টি জানান। স্থানীয়রা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সন্দেহ হলে বুধবারেই অরূপ কুমার ঘোষ মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। জানা গিয়েছে এরপর ওই এলাকার রাস্তা এবং কাছাকাছি দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে মোটরবাইকের নম্বর উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ব্যক্তিকেও চিহ্নিত করা হয়। বাইকের নম্বরের সূত্র ধরে বৈদ্যবাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অগস্ত্য পাঁজাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি পেশায় গৃহশিক্ষক। ১৫ হাজার টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি ধৃতের বাইকটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)