সোদপুর স্টেশনে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা? 'মৃত্যু' চারজনের! কী বলছেন রেল কর্তারা? ...
আজকাল | ২৯ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে গিয়েছে একের পর এক দুর্ঘটনা। ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। তবে, জরুরি পরিস্থিতি হলে কীভাবে পদক্ষেপ নেবে রেল? তারই মহড়া হয়ে গেল এদিন। বৃহস্পতিবার সোদপুর স্টেশনে এই নিয়ে একটি পুরোদমে মহড়া বা 'মক ড্রিল'-এর আয়োজন করেছিল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন।
সেই ড্রিলের অঙ্গ হিসেবে এদিন দেখে নেওয়া হল রেল কর্মীদের তৎপরতা। এর জন্য আগে থেকেই একগুচ্ছ প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছিল রেলের পক্ষ থেকে। তার মধ্যে অন্যতম- শিয়ালদহ ডিভিশনের এই স্টেশনে একটি লাইনে শিয়ালদহ-লালগোলা এক্সপ্রেসকে আগে থেকেই লাইনচ্যুত করে রাখা হয়েছিল। এর জেরে উল্টে যায় দুটি জেনারেল ক্লাসের চেয়ারকার বিশিষ্ট কোচ। যার জেরে ধরে নেওয়া হয় চারজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে এবং সেইসঙ্গে ১২ জন যাত্রী গুরুতর জখম ও ১৮ জন যাত্রী অল্প-বিস্তর আঘাত পেয়েছেন। জরুরি অবস্থার এই বার্তা পেতেই তৎপর হয়ে ওঠেন রেলকর্মীরা। সাইডিংয়ে দাঁড়ানো অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ মেডিক্যাল ভ্যান ও অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেনে দ্রুত পৌঁছে যায় দুর্ঘটনাস্থলে। সেইসঙ্গে পরিস্থিতি বিচারে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় ১৪০ টনের ক্রেন।
খবর দেওয়া হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফকে। শিয়ালদহ ডিভিশনের কর্মী ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর যৌথভাবে শুরু করেন উদ্ধার কাজ।
একে একে ক্ষতিগ্রস্ত কোচ থেকে বের করে নিয়ে আসা হয় ৩০ জন যাত্রীকে। তাঁদের চিকিৎসা শুরু করা হয়। গুরুতর আহত যাত্রীদের পাঠানো হয় বিআর সিং হাসপাতালে। ধীরে ধীরে এই আপৎকালীন পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা হয়। রেলের তরফে জানানো হয়, এই ধরনের মক ড্রিলে দেখে নেওয়া হয় কীভাবে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া যাত্রীদের বের করে নিয়ে আসা হবে এবং সেইসঙ্গে এর জন্য যদি কোচ বা কিছু কাটতে হয় তবে তার ব্যবহারও কীভাবে করা হবে। দুপুর ৩টে ৩০ মিনিট নাগাদ এই ড্রিল শুরু করা হয়। এই ড্রিলে এদিন অংশ নিয়েছিলেন ৩৮ জন এনডিআরএফ সদস্য, ২০ জন সিভিল ডিফেন্স এবং ৭ জন দমকল বিভাগের কর্মী। এছাড়াও ছিলেন ৮ জন চিকিৎসক এবং ২০ জন প্যারামেডিক স্টাফ। এছাড়াও ছিলেন আরপিএফ, সেন্ট জনস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও স্কাউটস অ্যান্ড গাইডস-এর সদস্যরা। গোটা ড্রিলটি সম্পন্ন হয়েছে শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম রাজীব সাক্সেনা, সিনিয়র ডিএসও সুজিত কুমার সিনহার নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধানে। ছিলেন ডিভিশনের অন্যান্য আধিকারিকরা।
এবিষয়ে শিয়ালদহ ডিভিশনের সিনিয়র জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, 'শুধুমাত্র কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক ছাড়া এই ড্রিলের বিষয়ে বাকি কাউকেই জানানো হয় না। এটা করা হয় কত দ্রুত রেলকর্মী ও অন্যান্যরা এই ধরনের অভিযানে সামিল হতে পারেন সেটা দেখে নেওয়ার জন্য। সফলভাবেই রেলকর্মী ও বাকিরা এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন।'