• সোনা, রুপো, মাটির তৈরি ৫০০ গণেশ এক বাড়িতেই! ৪০ বছর ধরে গণপতির মূর্তির কালেকশন বেড়েই চলেছে, কোথায় জানেন? ...
    আজকাল | ২৯ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় আছে, শখের দাম লাখ টাকা। তবে উত্তরপাড়ার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ারের শখের নাম গণেশ ঠাকুর। সখের বশে গনেশ ঠাকুর কালেকশন করতে করতে ৫০০ এর বেশি গণেশ ঠাকুর জমিয়ে ফেলেছেন উত্তরপাড়ার বাসিন্দা স্বাগত মণ্ডল। মূল্যবান সোনা এবং রুপোর গণেশ ঠাকুর সহ শতাধিক গণপতি বাপ্পার মূর্তি রয়েছে স্বাগত মণ্ডলের কাছে। 

    উত্তরপাড়া লরেন্সস্ট্রিটের বাসিন্দা স্বাগত মণ্ডল, পেশায় তিনি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। কর্ম জীবনে তিনি মুম্বইতে ছিলেন। সেখানে গণেশ পুজো দেখে তিনি অভিভূত হয়েছিলেন। সেই থেকে তাঁর মনে জন্মায় গণেশ ঠাকুরের প্রতি বিশেষ আগ্রহ। সেই কারণে তিনি নিজে গণেশ ঠাকুরের মূর্তির কালেকশন শুরু করেন। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তিনি গণেশের মূর্তি জমানো শুরু করেন। সেই থেকে সোনা, রুপোর গণপতি থেকে ছোটো বড় প্রায় ৫০০-র অধিক গণেশ ঠাকুর রয়েছে তাঁর কাছে। 

    বেছু বাবু গনেশ থেকে, ক্রিকেটার গণেশ, দাবারু গণেশ, এমনকী আলু, আদা, ভর্তুকি, সুপুরি দিয়েও তৈরি গণেশ রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত কালেকশনে। কর্মজীবনে ১৯৭৮ সাল থেকে তিনি গণেশ জমানোর কাজ শুরু করেছেন। মূলত মহারাষ্ট্রে থাকাকালীন সেখানকার গণেশ পুজো এবং এখানকার মানুষ দেখেই তাঁর এই বিশেষ শখ শুরু। এখনও তিনি বিভিন্ন মেলা থেকে মৃৎশিল্পীদের অর্ডার দিয়ে তাঁর মনের মতন গণেশ ঠাকুরের মূর্তি তৈরি করে নিয়ে এসে রাখেন তাঁর কালেকশনের মধ্যে। 

    দুর্গাপুজোর আগে গণেশ চতুর্থীতে মেতে ওঠে দেশ। মূলত মহারাষ্ট্রে গণেশ চতুর্থী বাংলার দুর্গাপুজোর মতোই বিরাট এক উৎসব। জাঁকজমকপূর্ণ এই উৎসবে মেতে ওঠেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা। এখন বাংলাতেও গণপতির আরাধনা চোখে পড়ার মতো। 

    একসময় কেবল মহারাষ্ট্র সহ দেশের অন্য কয়েকটি রাজ্যে ধুমধাম করে গণেশ পুজো হতো। এখন সিদ্ধিলাভের আশায় বাংলাতেও দিন দিন গণেশপুজো বেড়েই চলেছে। গত কয়েকবছর ধরেই কলকাতায় গণেশপুজোর রমরমা রীতিমতো তাক লাগাচ্ছে। বিঘ্নহর্তার আরাধনায় জায়গা করে নিয়েছে থিম। গণেশ চতুর্থীকে ঘিরে আয়োজন থাকে দীর্ঘ অনুষ্ঠান সূচিরও। বিসর্জন ঘিরেও থাকে বিশেষ চমক।

    চতুর্থী গণেশের জন্মতিথি হিসাবে পালিত হয়। শাস্ত্র মতে যে কোনও শুভ কাজ শুরু করার আগে গণেশের পুজো করা দরকর। গণেশকে ভোগ দিয়ে সন্তুষ্ট করে তবেই শুভ কাজ শুরু করেন এমন অনেকেই আছেন। শিব ও পার্বতীর ছোট পুত্র গণেশ মঙ্গলমূর্তি, গজানন, গণপতি নানা নামে পরিচিত। দুর্গাপুজোর শুরুতেই যে কারণে কলা বৌ স্নান করানো হয়। 

    এছাড়াও আমাদের দেশে অনেক গণেশ মন্দির রয়েছে। বলা হয়, গণেশকে দর্শন করলেই সকলের মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান গণেশ সমস্ত ধরনের বাধা দূর করে থাকেন। শুধু পুজো নয়, গণেশ চতুর্থীতে সারা দিন বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে জীবনে আসে সুখ সম্বৃদ্ধি। সহজেই উন্নতি সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে পারা যায়।
  • Link to this news (আজকাল)