সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: কয়লার সঙ্গে এবার বোতলবন্দি জল বিক্রি করবে ইস্টার্ণ কোলফিল্ড লিমিটেড (ইসিএল)। ইসিএল-এর তৈরি পানীয় জল ‘কোলনীর’ এবার বিক্রি হবে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডে। ইতিমধ্যেই বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট ইসিএল-এর সদর দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটির রূপকার ইসিএলের বাঁকোলা এরিয়া।
বাঁকোলা এরিয়ার কুমারডিহিতে দুটি পরিত্যক্ত খোলামুখ খনি রয়েছে। ১৯৮০ সালে সেখানে উৎপাদন শুরু হয়। ২০১০ সালে শেষ উৎপাদন হয়েছিল। ৬৬ হাজার বর্গ মিটার ও ২৫০ মিটার গভীর এই দুটি খোলামুখ খনিতে সারা বছরই জল থাকে। নিজস্ব জল ছাড়াও বৃষ্টির জল ও টুমনি নদীর জল জমা হয় এই দুই খোলামুখ খনিতে।
এবার এই খনির জলই পরিশ্রুত করে বিক্রি করবে ইসিএল। প্রকল্প থেকে জানা গিয়েছে, আট কোটি টাকা ব্যয়ে ওই খোলামুখ খনির পাশে বসবে ‘আরও’ (রিভার্স ওসমোসিস) প্লান্ট। ওই ‘আরও’ প্লান্ট থেকে ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬০০ লিটার জল বোতলবন্দি হবে। ১ লিটার জলের বোতলের দাম হবে ৭ টাকা। ৫০০ মিলিলিটার বোতলের দাম ৫ টাকা। ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষ থেকেই ‘কোলনীর’ উৎপাদন শুরুই লক্ষ্য ইসিএলের।
জানা গিয়েছে, প্রথম একবছর উৎপাদন করবে ইসিএল নিজেই। পরে তা তুলে দেওয়া হবে কোনও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে। এই ‘আরও’ প্লান্ট চালাবে কোনও বেসরকারি সংস্থা। সেই সংস্থাই প্রশিক্ষণ দেবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। ইসিএল শুধু ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছ থেকে লাইসেন্স ফি নেবে। এই বিষয়ে ইসিএল-এর বাঁকোলা এরিয়ার জিএম সঞ্জয় কুমার সাহু বলেন, “এই প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে সদর দপ্তরে। এবার সেখান থেকে সবুজ সংকেত এলেই কাজ শুরু হবে।”