সমাজসেবার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করল পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৮ আগস্ট ২০২৫
নতুন কিছু দাবি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, নতুন আবেগ সঙ্গে নিয়ে ছ বছরে পা দিল পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি। যে পুলিশ কমিটির জন্মই হয়েছিল পুলিশ কর্মী, সহায়ক পুলিশকর্মী, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের ও তাঁদের পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেছিলেন পুলিশ কর্মী, সহায়ক পুলিশ কর্মী ও তাঁদের পরিবারবর্গকে ভালো রাখতে হবে। কারণ তাঁরা ভালো থাকলেই তাঁদের কাছ থেকে জনসাধারণের জন্য সুষ্ঠু পরিষেবা পাওয়া যাবে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ভাবনা থেকেই জন্ম হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির।
মঙ্গলবার ছিল পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির ষষ্ঠতম প্রতিষ্ঠা দিবস। কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির বিভিন্ন শাখায় সমাজসেবামূলক কাজের মাধ্যমে ধুমধাম করে এই দিনটি পালন হয়। জন্মলগ্নে সারা পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ কমিটির শাখার সংখ্যা ছিল ৫৮টি। কিন্তু দিনে দিনে বেড়ে বর্তমানে শাখার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩টি।
এছাড়াও কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির অন্তর্গত ৪৮টি শাখা কমিটি রয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ কমিটির সমস্ত শাখাতেই মুলত রক্তদান শিবির, মিষ্টি বিতরণ, বস্ত্র বিতরণ সহ শুভেচ্ছা বার্তা প্রদানের মাধ্যমে কমিটির প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়। এদিন পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতা পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির কোঅর্ডিনেটর শান্তনু সিনহা বিশ্বাস, সমস্ত পুলিশ কর্মী, সহায়ক পুলিশকর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী ও তাঁদের পরিবারকে শুভেচ্ছা জানান। তাঁদের মঙ্গল কামনা করেন। এবং পুলিশ কর্মীদের মঙ্গল হবে এমন বিষয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে দাবি আদাযের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিও দেন।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কমিটির কনভেনর বিজিতাশ্ব রাউত এদিন পুলিশ কর্মীদের কাছে বার্তার মাধ্যমে কিছু অনুরোধ রাখেন। তিনি বলেন, ‘আমি অনুরোধ করছি সমস্ত পুলিশকর্মী, সহযোগী পুলিশকর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী ও তাঁদের পরিবার সবাই সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে এই ওয়েলফেয়ার কমিটিকে শক্তিশালী করুন। এই কমিটির ছত্রছায়ায় একজোট হন। যে কারণে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্য যাতে সাফল্যমণ্ডিত হয় সেই চেষ্টা করুন।’ এদিন পুলিশ কর্মীদের, সরকারের প্রত্যেকটি জনকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে সরকারের হাতকে শক্ত করার আবেদনও জানান বিজিতাশ্ব রাউত।