• রাজ্যের আয় বেড়েছে সাড়ে পাঁচ গুণ, শিক্ষাক্ষেত্রে নজিরবিহীন অগ্রগতি: মুখ্যমন্ত্রী
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের মোট আয় প্রায় সাড়ে পাঁচ গুণ বেড়েছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি জানান, শুধুমাত্র রাজস্ব বৃদ্ধি নয়, সামাজিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যের অগ্রগতি দেশের মধ্যে অনন্য নজির স্থাপন করেছে।

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রসীমার ঊর্ধ্বে তুলে আনা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এই সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘দারিদ্রসীমা কোনও রাজনৈতিক পরিসংখ্যান নয়, এটি সামাজিক উন্নয়নের সবচেয়ে বড় মাপকাঠি। সেই মাপকাঠিতে বাংলা দেশের মধ্যে সবার আগে রয়েছে।’

    শিক্ষা ও যুব কল্যাণে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যেই ৫৩ লক্ষ পড়ুয়াকে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে। নবম শ্রেণিতে উঠলেই ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পে সাইকেল পাচ্ছেন পড়ুয়ারা—এ পর্যন্ত ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ছাত্রছাত্রী এই সুবিধা পেয়েছেন। চলতি বছর আরও সাড়ে ১২ লক্ষ পড়ুয়াকে সাইকেল দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

    শিক্ষা পরিকাঠামো উন্নয়নে ইতিমধ্যে ৬৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এই অর্থে তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, আইটিআই, পলিটেকনিক এবং মেডিক্যাল কলেজ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘দেশের আর কোনও রাজ্যে বিনামূল্যে বই, জুতো ও স্কুল ইউনিফর্ম দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। বাংলা সেই দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।’

    নারীশিক্ষা ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ১ কোটির কাছাকাছি মেয়েকে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা বর্তমানে গোটা বিশ্বের কাছে একটি মডেল।

    ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্পের আওতায় ৯২ হাজার ছাত্রছাত্রী শিক্ষালাভের সুবিধা পাচ্ছেন। সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য ‘শিক্ষাশ্রী’ প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ২৫ লক্ষ স্কলারশিপ। এছাড়াও ‘মেধাশ্রী’ প্রকল্পের আওতায় উপকৃত হয়েছেন ৬ লক্ষ ৬৫ হাজার পড়ুয়া।

    মেধার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে মেধা সমাজ গড়ে, মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেয়, সেই মেধাই আসল। শুধু পরীক্ষায় নম্বর পাওয়াই মেধা নয়। গান, অভিনয়, কৃষিকাজ, তাঁত বোনা, সব ক্ষেত্রেই মেধার প্রকাশ হয়। রাজ্য সেই প্রতিভার মর্যাদা দিতে বদ্ধপরিকর।’

     
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)