• ভোটের আগে বিহারে বড় নাশকতার ছক! নেপাল দিয়ে ঢুকেছে জঙ্গিরা, ছবি প্রকাশ পুলিশের, রাজ্য জুড়ে কড়া নিরাপত্তা...
    আজকাল | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভোটমুখী বিহারে তুঙ্গে একাধিক চর্চা। একদিকে এসআইআর, ভোটচুরি নিয়ে বিতর্ক। রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। তারমাঝেই নয়া চর্চা। প্রশ্ন তাহলে কি ভোটের আগেই বিরাট নাশকতার ছক সেখানে? সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নেপাল হয়ে বিহারে প্রবেশ করেছে তিন জঈশ জঙ্গি। সূত্রের খবর, তিন সন্ত্রাসীর নাম হাসনাইন আলী, আদিল হুসেন এবং মোহাম্মদ উসমান। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের স্কেচও ইতিমধ্যে বিহার পুলিশ প্রকাশ করেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের তথ্য, তাদের রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা হাসনাইন আলী, উমরকোটের আদিল হুসেন এবং বাহাওয়ালপুরের মোহাম্মদ উসমান হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

    সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লিখিত, ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, ওই তিন সন্ত্রাসীরা আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে এসেছিল এবং গত সপ্তাহে ভোটমুখী বিহারে প্রবেশ করেছে। তিন সন্ত্রাসীর পাসপোর্ট সম্পর্কিত তথ্যও ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে বিহারের একাধিক এলাকা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শেয়ার করা তথ্যের উপর নির্ভর করে, যদিও কারও নজরে আসে এই ধরনের কোনও ব্যক্তি, তাহলে তা পুলিশে জানাতে।

    কোন কোন জেলায় হাই অ্যালার্ট? সূত্রের খবর, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সমস্ত জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষ করে নেপাল সংলগ্ন বিহারের সীমান্তবর্তী জেলা সীতামারহি, মধুবনী, পশ্চিম চম্পারণ, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ এবং সুপৌলে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। ভাগলপুর এবং অন্যান্য জেলাগুলিতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা কোনও তথ্য পেলে স্থানীয় থানা বা পুলিশ হেল্পলাইনে অবিলম্বে অবহিত করার জন্য পুলিশ জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে। বর্তমানে, সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থা তিন সন্ত্রাসীর সন্ধানে নিয়োজিত রয়েছে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বিহারের দিকে নেপাল-ভারত সীমান্ত অঞ্চলে বেশ অনেকটা জায়গা উন্মুক্ত। ওই জায়গা দিয়েই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে প্রাথমিকাভবে। 

    ২২শে এপ্রিল পাহেলগাঁওয়েমে জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ৭ মে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায়। প্রতিশোধমূলক হামলায় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ন’টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা করা হয়। যার মধ্যে বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশ-ই-মহম্মদের সদর দপ্তরও ছিল। ভারতীয় সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে এই স্থানে নির্ভুল হামলায় জইশের ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়। 

    চলতি বছর ২২শে এপ্রিল, লস্কর সন্ত্রাসবাদীরা বৈসারনে ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল। হামলার প্রত্যাঘাতে, ভারত অপারেশন সিঁদুর অভিয়ান চালায়। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনী জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। স্বামীহারা নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ওই অভিযানের নাম দেওয়া হয় 'অপারেশন সিঁদুর।' যা নিয়ে হইচই পড়ে য়ায় দুনিয়াজুড়ে। পাল্টা আক্রমণ করে পাক বাহিনীও। যা প্রতিহত করে ভারতীয় বাহিনী। যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠতে থাকে। পরে সংঘর্ষ পরিস্থিতি থামলেও, ভারতের পক্ষ থেকে বারবার সাফ জানানো হয়েছে, কোনওভাবেই সন্ত্রাসী হামলা রেয়াত নয়। সেসবের মাঝেই ফের বিহারে জঙ্গি অনুপ্রবেশের তথ্য এসেছে সামনে। 

     
  • Link to this news (আজকাল)