• লেপ-কম্বল তৈরি রাখুন আগে থেকেই, রেকর্ড হারে নামবে পারদ, হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় জবুথবু হবে দেশ!
    আজকাল | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘনঘন নিম্নচাপ। একটানা তুমুল বৃষ্টি, ঝড়। টানা চার মাসে প্রবল বৃষ্টিতে নাজেহাল দেশ। চলতি বছরে বর্ষায় চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন দেশবাসী। আগস্টের শেষেও ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। কোথাও হড়পা বান, কোথাও বা ধস, কোথাও আবার বন্যা। হাজারের বেশি মানুষ প্রাকৃতিক বিপর্যয়েই মারা গেছেন‌। এদিকে হাওয়া অফিসের আশঙ্কা, বর্ষার মতোই এবার শীতেও চরম আবহাওয়া থাকবে। বর্ষায় যেমন বৃষ্টির তাণ্ডব চলেছে, শীতেও তাপমাত্রার পারদ রেকর্ড হারে নিম্নমুখী থাকতে পারে। 

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনওএএ সংস্থা জানিয়েছে, এখন লা নিনা সক্রিয় রয়েছে। এর প্রভাবেই ভারতে জাঁকিয়ে ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে চলতি বছরে। রেকর্ড হারে নামতে পারে তাপমাত্রার পারদ। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ৫৩ শতাংশ সক্রিয় হতে পারে লা নিনা। ২০২৫ সালের শেষভাগে তা বেড়ে ৫৮ শতাংশ হতে পারে। ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের শুরু পর্যন্ত, অর্থাৎ শীতকাল জুড়েই সক্রিয় থাকতে পারে লা নিনা। ফলে ভারতে ২০২৫ সালে বর্ষার মতোই শীতেও ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে। 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, লা নিনা-এর সময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পূর্ব থেকে পশ্চিমে বয়ে চলা বায়ুর চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটে। তখন উষ্ণ জলস্রোত প্রবাহিত হতে থাকে পশ্চিমের দিকে। লা নিনা চলাকালীন সমুদ্রের গভীর থেকে উঠে ঠান্ডা জল সমুদ্রের উপরিভাগে উঠে যায়। যার ফলে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা তখন স্বাভাবিকের থেকে ঠান্ডা হয়ে যায়। অতিরিক্ত বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব আফ্রিকা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। পূর্ব এশিয়া ও উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস থাকে। 

    যদিও আবহাওয়াবিদদের অনুমান, আগামী দিনে লা নিনা তুলনামূলক দুর্বল থাকতেও পারে। অর্থাৎ এর প্রভাব সব জায়গায় সমানভাবে দেখা যাবে না। লা নিনার প্রভাবে বর্ষায় একটানা ভারী বৃষ্টির সাক্ষী থাকল দেশ। অন্যদিকে এর প্রভাবেই আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় এবার বৃষ্টির দেখা মেলেনি। পাশাপাশি লা নিনার প্রভাবে শীতেও চরম আবহাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভারতে তাপমাত্রার পারদ নামবে হু হু করে। অন্যদিকে এল নিনো সক্রিয় থাকলে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা বাড়ে। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে লা নিনা সক্রিয় থাকার সম্ভাবনা বেশি। যার প্রভাব এশিয়ার বহু দেশ ও ভারতেও হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়তে পারে। 

    অতীতে একটানা তিনবছর লা নিনা সক্রিয় ছিল। ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত। যা ট্রিপল ডিপ লা নিনা বলে পরিচিত। এরপর ২০২৩ সালে আবারও এল নিনো সক্রিয় হয়ে ওঠে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই লা নিনা ও এল নিনোর প্রভাব আরও স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি বছর অক্টোবর থেকে জানুয়ারির মধ্যে এবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বেশি থাকতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে আগেভাগেই শীতের আমেজ অনুভূত হতে পারে।
  • Link to this news (আজকাল)