লুকিয়ে হস্টেলের মেয়েদের স্নানের ভিডিও তুলত! খপ করে ধরে ফেলল যুবককে, যৌনসুখ পেতে গিয়ে বিরাট কেচ্ছা ফাঁস ...
আজকাল | ২৮ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছাদের একটি জায়গা ছিল ফাঁকা। সেখান থেকে উঁকি দিলেই দেখা যেত হস্টেলের স্নানঘরে। নিত্যদিন সেই ছাদ থেকেই স্নানঘরে উঁকি দিয়ে মেয়েদের স্নান করা দেখত। কখনও কখনও মোবাইল ফোনে ভিডিও তুলেও রাখত। টানা একবছর এমন কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। অবশেষে হাতেনাতে ধরা পড়ল। এক দশম শ্রেণির ছাত্রী অভিযুক্ত যুবককে ধরিয়ে দিল পুলিশের হাতে। তাকে গ্রেপ্তারের পরেই আরও কেচ্ছা ফাঁস হল।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে। হস্টেলের স্নানঘরে মেয়েদের স্নান করার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করার অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের নাম, হিমাংশু রায়। সে হীরাপট্টি কলোনির বাসিন্দা।পরিবারের সঙ্গেই থাকে হিমাংশু। গত এক বছর ধরে ওই এলাকারই একটি হস্টেলে মেয়ের স্নানের মুহূর্তটি চুপিচুপি দেখত। অনেক সময় সেই দৃশ্য ফোনে ক্যামেরাবন্দি করত।
গত রবিবার ওই হস্টেলের এক দশম শ্রেণির ছাত্রী স্নানঘরে ঢুকে দেখতে পায়, ছাদের একটি অংশ ফাঁকা। সেখানেই একটি মোবাইল ক্যামেরা চোখে পড়েছিল তার। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে বাকিদের ডেকে আনে সে। তড়িঘড়ি করে ছাদে ওঠেন অনেকেই। হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই যুবক। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, হিমাংশুর কীর্তি এর আগেও জানতে পেরেছিল হস্টেলের পড়ুয়ারা। অতীতে ছাত্রীদের ভিডিও দেখিয়ে হুমকি দিত সে। ছাত্রীদের হুমকি দিয়ে বলত, যদি পুলিশে বা কাউকে নালিশ করা হয়, তাহলে স্নানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবে সে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, হিমাংশুর ফোন ও ল্যাপটপ ঘেঁটে কমপক্ষে ৪০টি পর্নোগ্রাফি ভিডিও পাওয়া গেছে। আরও অশ্লীল ছবি রয়েছে ফোন ও ল্যাপটপে। তিনি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'এক যুবককে হাতেনাতে ধরেছে ওই হস্টেলের পড়ুয়ারা। ওই পড়ুয়াদের স্নানের একাধিক ভিডিও তার ফোন থেকে পাওয়া গেছে। একবছর ধরে হস্টেলের মেয়েদের এই স্নানের ভিডিও সে তুলছিল। তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। ইলেকট্রিক ডিভাইসগুলি ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই লুকিয়ে মহিলাদের স্নানের ভিডিও তুলতে গিয়ে বাংলাতেই এক যুবকের চরম পরিণতি হয়। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারে। জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবক কোচবিহার পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আদতে সে বিবাহিত। প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে মহিলাদের স্নানের ভিডিও তুলত সে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যুবকের পাশের বাড়ির প্রতিবেশীদের শৌচালয়ে ছাদ নেই। দিনের বেলায় নিজের বাড়ির ছাদে উঠে পাশের বাড়ির ছাদ থেকে স্নানঘরে উঁকি মারত সে। সম্প্রতি প্রতিবেশীদের মনে সন্দেহও দানা বেঁধেছিল যুবকের আচরণ দেখে। দিন কয়েক আগে প্রতিবেশী এক মহিলা ওই শৌচালয়ে ছিলেন। তখনই যুবককে চোখে পড়ে তাঁর। চিৎকার করায় যুবক সেখান থেকে পরে যায়।
এরপর শৌচালয়ের ঘুলঘুলি দিয়ে উঁকি মারতে দেখা যায় তাকে। তখনই হাতেনাতে যুবককে ধরে ফেলেন বাড়ির লোকজন। যুবকের হাতে একটি মোবাইল ফোন ছিল। তা দেখেই সন্দেহ হয় বাকি সকলের। মোবাইল ফোনটি কেড়ে স্থানীয়রা দেখেন, তাতে ভর্তি রয়েছে অশ্লীল ভিডিও। লুকিয়ে তোলা প্রতিবেশীদের স্নানের ভিডিও ছিল তার ফোনে। এরপরই গণপিটুনি দেয় তাকে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।