আজকাল ওয়েবডেস্ক: পণের জন্য এবার সদ্য বিবাহিত তরুণীর গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এবার ঘটনাস্থল বিহার। এবারেও পণ হিসেবে সোনার গয়নার দাবি করেছিল শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু খানিকটা সময় চেয়েছিলেন তরুণীর বাবা। অধৈর্য হয়ে তরুণীকে খুন করার অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের খাগাড়িয়া জেলার বরখান্দি তোলা গ্রামে। জানা গেছে, তরুণীর সঙ্গে বিভীষণ যাদবের বিয়ে হয়েছে এক বছর আগে। তরুণীর বাবা জাদো যাদব জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পণের জন্য হেনস্থা করতেন তরুণীকে। আরও সোনার গয়নার দাবি করতেন তাঁরা। এদিকে তরুণীর বাবা আশ্বাস দেন, আর দুই মাস পরেই তিনি সব দাবি পূরণ করবেন।
কাঁদতে কাঁদতেই জাদো যাদব জানান, 'আমি শুধুমাত্র দুই মাস সময় চেয়েছিলাম!' আরেক আত্মীয় জানান, সোনার গয়না না পেলে তরুণীকে খুনের হুমকিও দিয়েছিল তারা। তাঁদের আরও অভিযোগ, আগে বিভীষণ চাষবাসের কাজ করতেন। কিন্তু গত মাস ধরেই বিহারেই গাঁজা ও বিষমদ বিক্রি করতেন। তরুণীর ভাইয়ের অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এরপর তাঁর দেহটি ঝুলিয়ে দেন। তরুণীর শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তরুণীর বাবা জানিয়েছেন, 'আমার যা সার্মথ্য ছিল, সবকিছুই দিয়েছিলাম। তাও সোনার হার আর গাড়ির দাবি করছিল মেয়ের শ্বশুরবাড়ি। সদ্য ছেলের বিয়ে দিয়েছি। ছেলের বিয়ের সময় থেকেই সোনার হারের দাবিদাওয়া শুরু হয়। দুই মাস সময় চেয়েছিলাম। তার মধ্যেই মেয়েকে খুন করে দিল।' তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক। ঘটনাটি ঘিরে তদন্ত চলছে।
প্রসঙ্গত, বিয়ের এক দশক পেরিয়ে যাওয়ার পরেও পণের জন্য বর্বোরোচিত আচরণ স্বামীর। আরও পণের দাবিতে স্ত্রীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন যুবতী। পণের দাবিতে পরপর গৃহবধূকে জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় উত্তাল যোগীরাজ্য।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গতকাল , মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে নারাংপুর গ্রামে। ৩২ বছর বয়সি পারুল স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্বামী দেবেন্দ্র পুলিশ কনস্টেবল। সম্প্রতি রামপুর থেকে বরেলিতে বদলি হয়ে এসেছিলেন। দিন কয়েক ছুটি নিয়ে বাড়িতেই ছিলেন দেবেন্দ্র। পণের দাবিতে স্ত্রী পারুলকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দেবেন্দ্র ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পারুলকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে। পারুলের ভাই থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন, দেবেন্দ্র, তাঁর মা, ও পরিবারের আরও চারজন পুরুষ সদস্য। খুনের চেষ্টা ও গার্হস্থ্য হিংসার মামলা রুজু করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ছয়জনেই এখনও পর্যন্ত পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পারুলের মা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরাই প্রথমে তাঁকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন যুবতী।