• ঝুকেগা নেহি! মার্কিন শুল্ক মোকাবিলায় বিকল্প পথ তৈরি করে ফেলল কেন্দ্রীয় সরকার
    আজকাল | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মার্কিন দেশের চাপিয়ে দেওয়া শুল্ক এখন ভারতের ঝুলিতে। তাকে কীভাবে মোকাবিলা করবে তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। তবে এখানেই রয়েছে খুশির খবর। ভারত সরকার ইতিমধ্যে মার্কিন দেশের শুল্ক মোকাবিলাতে তৈরি করে নিয়েছে নতুন পথ। ভারতের ব্যবসা যাতে কোনওভাবেই মার না খায় সেদিকে নজর রাখতেই তৈরি হয়েছে বিশেষ ব্লু-প্রিন্ট।

    এই জায়গায় থেকে ভারতের নীতি একেবারে স্পষ্ট। মার্কিন দেশ যদি ভারতের ওপর শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দিতে থাকে তাহলে সেখান থেকে বিকল্প পথ কী হতে পারে সেদিকে সবার আগে দেখার। এখানে ভারতের কয়েকটি শিল্পর দিকে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে বস্ত্র, অলঙ্কার এবং রত্ন শিল্প। এই তিনটি দিকে মার্কিন শুল্কের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে।

    এতদিন পর্যন্ত মার্কিন দেশে এই তিনটি শিল্প অনেক বেশি রপ্তানি হত। সেখান থেকে লাভের মুখও ছিল অনেকটা বেশি। তবে এবার সেখান থেকে বিকল্প পথের সন্ধান করছে ভারত। ফলে ভারতকে এবার এই তিন শিল্পের জন্য বিকল্প বাজার তৈরি করতে হবে। যাতে ভারতের ব্যবসায়ীরা কোনওভাবে ক্ষতির সামনে না পড়েন। এখানেই ট্রাম্পকে কলা দেখাতে চলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বিকল্প হিসেবে ৪০ টি দেশের কথা ভেবেছেন যেখান থেকে ভারতের ব্যবসা অতি সহজে চলতে পারে।

    এই দেশগুলির তালিকাতে চলেছে ইংল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, নেদারল্যান্ড। পাশাপাশি মেক্সিকো, পোল্যান্ড, রাশিয়া এবং টার্কিও ভারতের নজরে রয়েছে। এখানেই থেমে নেই। বেলজিয়াম, কানাডা, আরব এবং অস্ট্রেলিয়াকেও টার্গেট করেছে ভারত। এক সরকারি কর্তা জানিয়েছেন, যদি বাকি ৪০ টি দেশে ভারত সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে চলতে পারে তাহলে সেখান থেকে ভারতের লাভের অঙ্ক বাড়বে। ভারতের এই তিনটি দ্রব্যের চাহিদা অনেকটা বেশি। ফলে সেখান থেকে এই দেশের বাজার ধরতে খুব একটা অসুবিধা হবে না।

    ফিকির সভাপতি হর্ষবর্ধন আগরওয়াল জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসে ভারত কোন পথে ব্যবসা করবে তার ওপর ভারতের অর্থনীতির উন্নতি অনেকটা নির্ভর করবে। এখানে আগামী দিনে জিএসটি একটি বিরাট ভূমিকা নিতে চলেছে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন বেশি শুক্ল দিতে হলেও মার্কিন দেশকে এত সহজে ছাড়বে না ভারত। কারণ হিসেবে বলা যায় ভারত মার্কিন সম্পর্ক যেখানে রয়েছে সেখান থেকে যদি ভারত একেবারে নেতিবাচক দিক নেয় সেটি দুই দেশের সম্পর্কে বিরাট প্রভাব ফেলবে।

    মোটের ওপর মার্কিন দেশকে না চটিয়ে ভারত চাইছে বিশ্বের বাকি দেসের সঙ্গে নিজেদের ব্যবসা আরও শক্ত করতে। সেই কাজ করতে ভারতকে খানিকটা সময় দিতে হবে। যেখানে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবর ভাল। সেখানে ভারত এবার আগামীদিনে মার্কিন দেশে কীভাবে নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে যায় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে বিশ্বের বাকি শক্তিধর দেশগুলিও।
  • Link to this news (আজকাল)