• রবিবার রাতে তুমুল হুল্লোড়, সোমবার মিলল ঝুলন্ত দেহ, আইআইটির কর্মী চিঠিতে যা লিখে গিয়েছেন, হইচই
    আজকাল | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার রাতেও হইচই করেছেন বন্ধুদের সঙ্গে। হাসিমুখেই ছিলেন গোটা সময়টা। তবে সোমবার আর খোঁজ মিলছিল না। খোঁজ করতেই, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-আইআইটি কানপুরের সাইবার সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত ২৫ বছর বয়সী একজন সফটওয়্যার ডেভেলপারের ভাড়া বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম দীপক চৌধুরী। তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, দীপকের মৃত্যুর পর, তাঁর বারি থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে তিনি জানিয়েছেন, সাইবার সিকিউরিটি ক্ষেত্রের অগ্রগতির সঙ্গে তাল মেলাতে তিনি অক্ষম। পুলিশ জানিয়েছে, দীপক ওই সংস্থায় দু' বছর ধরে কাজ করছিলেন। চরম পদক্ষেপ গ্রহণের আগে, তিনি ওই বিভাগের এক সিনিয়র কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি কাজে আরও মনযোগের কথা বলেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, দীপক সুইসাইড নোটে তাঁর বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন চরম পদক্ষেপের জন্য। জানিয়েছেন তিনি মদ্যপান করতেন না। কোনও ভুল কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন না। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, দীপক রবিবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দিয়েছেন। খাওয়া দাওয়া করেছেন। তিনি বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে সোমবার, বারবার ডাকাডাকি এবং ধাক্কা দেওয়ার পরেও তিনি সাড়া না দেওয়ায়, তার বন্ধুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং তারা জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখতে পান যে তার মৃতদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। তখনই খবর দেওয়া হয় পুলিশে।

    সহকারী পুলিশ কমিশনার (কল্যাণপুর) রঞ্জিত কুমার জানিয়েছেন, তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহ করে ওই ঘর সাইল করে দিয়েছে বলে জানানো হয়েহে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং পরিবারকে জানানো হয়েছে। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (পশ্চিম) দীনেশ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। 

    আইআইটি কানপুর অপ্রীতিকর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে এবং কর্মীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে।  তাতে জানানো হয়েছহে, 'গভীর দুঃখের সঙ্গে, আইআইটি কানপুর ইনস্টিটিউটে পরিচালিত একটি স্টার্ট-আপের সঙ্গে যুক্ত ২৫ বছর বয়সী সফটওয়্যার ডেভেলপার দীপক চৌধুরীর অকাল ও দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছে। তাঁর মৃত্যুর কারণ নির্ধারণের জন্য ফরেন্সিক দল তদন্ত চালাচ্ছে। ইনস্টিটিউট পুলিশি তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে।'

    এর আগে, জুলাই মাসে খড়গপুর আইআইটির পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছিল, আইআইটির রাজেন্দ্র প্রসাদ হল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ঋতম মণ্ডলের দেহ উদ্ধার হয় শুক্রবার। ঋতমের বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা। খড়গপুর আইআইটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। থাকতেন রাজেন্দ্র প্রসাদ হলে। শুক্রবার হস্টেল থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। যদিও পড়ুয়া মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হলেও সম্ভাব্য সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  

    এর আগে, আইআইটি খড়গপুরের ছাত্রাবাস থেকে পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের নাম অনিকেত ওয়ালকার। ওশেন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড নভেল আর্কিটেকচার বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। অনিকেতের বাড়ি মহারাষ্ট্রে। আইআইটি খড়গপুরের হস্টেলেই তিনি থাকতেন।  জগদীশচন্দ্র বসু হলে ২১৪ নম্বর রুম থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 
  • Link to this news (আজকাল)