নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। গুরুত্বপূর্ণ সেই ভোটে শুধুই ‘নব্য’ নেতাদের উপর আর ভরসা রাখতে পারছে না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ইঙ্গিত স্পষ্ট, দলের তথাকথিত পুরনো তথা ‘আদি’ নেতাদের গুরুদায়িত্ব নিতে হবে। তাঁদের সামনে রেখেই চলবে নির্বাচনের প্রস্তুতি। বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এই কথা সাফ বুঝিয়ে দিচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা। দায়িত্ব তুলে দেওয়ার আগে আদিপন্থী নেতাদের মান-অভিমান মেটানোর ব্যাপারেও রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বকে সরাসরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বঙ্গ বিজেপির নতুন সভাপতি, সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য দলের একজন ‘আদিপন্থী’ নেতা হিসেবেই পরিচিত। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তিনি ক্রমাগত দলের পুরনো নেতা, কর্মীদের গুরুত্ব বৃদ্ধির কথা বলছেন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এহেন একাধিক ‘পরামর্শ’কে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। দলীয় সূত্রের দাবি, বিগত কয়েক বছরে বঙ্গ বিজেপির অসংখ্য পুরনো নেতা, কর্মী অভিমানে দূরে সরে গিয়েছেন। তাঁদের একটি বড় অংশ বর্তমানে নিষ্ক্রিয়। এর জন্য প্রধানত দলবদলু কিছু ‘নব্যপন্থী’ নেতাই দায়ী বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের একটি অংশের। এহেন প্রেক্ষিতে তাই দূরে সরে যাওয়া পুরনো নেতাকর্মীদের ফের সক্রিয় করে তোলার চেষ্টা চলছে। জানা যাচ্ছে, এবার থেকে সপ্তাহে একদিন তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপির শাসক শিবির। সেই বৈঠকে যেমন আদি নেতাদের ক্ষোভ কিংবা অসন্তোষের খোঁজখবর নেওয়া হবে, তেমনই তাঁদের ‘পরামর্শ’ও নেবে দল। এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী বিধানসভা ভোটে উপযুক্ত দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। অন্তত এমনই নির্দেশ দিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় পার্টি। পুরনো নেতা, কর্মীদের নিয়ে রীতিমতো ‘ব্রেইন স্টর্মিং’ সেশনেরও আয়োজন করা হবে রাজ্যজুড়ে।