উত্তরপ্রদেশে পণের দাবিতে বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা পুলিস স্বামীর
বর্তমান | ২৮ আগস্ট ২০২৫
লখনউ: দিনকয়েক আগেই পণের দাবিতে শিশুসন্তানের সামনেই বধূকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার ঘটনায় গোটা দেশে তোলপাড় পড়ে যায়। এরইমাঝে উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় পণের দাবিতে এক নার্সকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিসকর্মীর নাম দেবেন্দ্র। তিনি উত্তরপ্রদেশ পুলিসে হেড কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার পণের দাবিতে স্ত্রী পারুলের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা শুরু হয়। তারপরই এই ঘটনা। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। গুরুতর অবস্থায় দিল্লির এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আক্রান্ত মহিলা। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের পর থেকেই পণ নিয়ে ঝামেলা চলত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। পারুলের উপর নির্যাতন চালাতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। সম্প্রতি ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন দেবেন্দ্র। মঙ্গলবার ফের ঝামেলা শুরু হয়। পারুলের মায়ের কথায়, ‘প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মেয়ের বাড়ি পৌঁছই। দেখি ও যন্ত্রণায় চিৎকার করছে। শরীরের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে।’ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি আক্রান্তের শাশুড়ি, দেওরের খোঁজ শুরু করেছে পুলিস।এদিকে, গ্রেটার নয়ডায় পণের দাবিতে খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। এবার মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনলেন তাঁর ভাইয়ের প্রাক্তন স্ত্রীও। যুবতীর দাবি, পণের দাবিতে চাপ দেওয়া হত তাঁকেও। যৌতুক না দেওয়ায় বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।