সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবিন্যাস বদল নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথাতেই ইঙ্গিত মিলেছিল, ‘ল্যান্ড জেহাদে’র মতো সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার। প্রধানমন্ত্রীর সেই ইঙ্গিতের পরই হাতেকলমে কাজ শুরু করে দিল বিজেপি! অসমের বিজেপি সরকার জানিয়ে দিল, আর প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত ভিনধর্মে জমিও বিক্রি করা যাবে না।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঘোষণা করলেন, এবার থেকে ভিনধর্মে জমি বিক্রির ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা তৈরি মেনে চলতে হবে। সরকারের অনুমতি ব্যতীত অন্য ধর্মের মানুষের কাছে জমি বিক্রি করা যাবে না। হিমন্তর বক্তব্য, “অসমের মতো সংবেদনশীল রাজ্যে জমির হস্তান্তরের বিষয়টিতে তীক্ষ্ণ নজর রাখা উচিত।” তিনি জানিয়েছেন, যদি অসমের কোনও বাসিন্দা ভিনধর্মের কারও কাজে জমি বিক্রি করতে চান তাহলে গোটা প্রক্রিয়া সরকার খতিয়ে দেখবে। যে জমি কিনছে তাঁর রোজগারের উৎস খতিয়ে দেখবে সরকার। খতিয়ে দেখা হবে, ওই জমি বিক্রির ফলে ওই এলাকার সামাজিক সংহতি বজায় থাকছে কিনা।
অসম সরকারের নির্দেশিকায় বলা হচ্ছে, এই ধরনের জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আগে সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। ওই হস্তান্তরের ফলে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে কিনা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। তারপর জমি হস্তান্তর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন জেলাশাসক বা জেলাস্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার। সরকার বলছে, জমি হস্তান্তরের ফলে জনবিন্যাসে কী প্রভাব পড়ছে, ওই জমির হস্তান্তর জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক কি না সবটাই খতিয়ে দেখা হবে। তারপর অনুমতি দেওয়া হবে।
বস্তুত হিমন্ত বিশ্বশর্মা কোনওরকম রাখঢাক না করেই একাধিকবার বলেছেন, অসমের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে। যা রুখতে তাঁর সরকার বদ্ধপরিকর। হিমন্ত একাধিকবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, বেআইনি অনুপ্রবেশকারীরা অসমের ভূমিপুত্রদের জমি কিনে নিয়ে বা জবরদখল করে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করছে। অনেকটা ঝাড়খণ্ডের ধাঁচে অসমেও ল্যান্ড জেহাদের মতো পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। অসমের মতো রাজ্যে বেআইনি অনুপ্রবেশ এবং জনবিন্যাস বদল যেখানে বাস্তব সমস্যা সেখানে জমি হস্তান্তরে কড়া আইন দরকার।