• উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রসূতি মৃত্যু, সমস্যা সমাধানে নয়া গাইডলাইন রাজ্যের
    প্রতিদিন | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: প্রসূতিমৃত্যু ঠেকাতে ফ্লুইড থেরাপি নিয়ে নয়া গাইডলাইন আনল রাজ্য সরকার। সাম্প্রতিককালে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে সিজার পরবর্তী প্রসূতি মৃত্যু ও গুরুতর অসুস্থতার ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের পর সাগর দত্ত-সহ বেশ কিছু সরকারি হাসপাতালে প্রসূতিমৃত্যুর ঘটনার পর ভিলেন হিসাবে বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছে সিজারের পর ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট। অর্থাৎ, স্যালাইন, ডেক্সট্রোজ, রিঙ্গার্স ল্যাকটেট ইত্যাদি দেওয়ার ক্ষেত্রে ভুলচুক হচ্ছে বলেই সন্দেহ। এ নিয়ে তাই এবার কড়া গাইডলাইন জারি করল স্বাস্থ্য দপ্তর।

    স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, রাজ্যে প্রসূতিমৃত্যুর হার কমাতে মেনে চলতে হবে বিশেষজ্ঞ কমিটির এই গাইডলাইন। প্রতিটি সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্য নয়া গাইডলাইন কার্যকর করা বাধ্যতামূলক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃত্যুর নেপথ্যে থাকা প্রধান কারণগুলির অন্যতম হল সঠিক ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টের অভাব এবং নিরাপদভাবে ইন্ট্রাভেনাস বা আইভি ইঞ্জেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু চিকিৎসকের অভিজ্ঞতার ঘাটতি। সঠিক ফ্লুইড থেরাপি প্রয়োগ না হলে হাইপো কিংবা হাইপার-ভোলেমিয়ার কারণে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, হৃদযন্ত্র বিকল হওয়া বা শকের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটেই স্বাস্থ্য দপ্তর সব সরকারি হাসপাতালে সিজারের আগে ও পরে ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত বাধ্যতামূলক গাইডলাইন জারি করেছে।

    রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার যৌথ স্বাক্ষরিত নির্দেশিকাটি স্বাস্থ্যভবন থেকে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সব মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। কী বলা হয়েছে গাইড লাইনে? গাইডলাইনে বলা হয়েছে, প্রসূতিদের জন্য যে রিঙ্গার্স ল্যাকটেট ব্যবহার হয়, তাতে বারবার স্বচ্ছ ও পরিষ্কার ফ্লুইড ব্যবহার করতে হবে। এবং ক্রিস্টালয়েড ও কোলয়েড ফ্লুইড ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে। প্রসূতির শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ফ্লুইডের পরিমাণ ও সীমা নির্ধারণ করা এবং প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া বা হৃদরোগে আক্রান্ত প্রসূতির জন্য নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ফ্লুইড দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)