• দেড়শো বছরেরও বেশি পুরনো গণেশ পুজো কাঁকিনাড়া বাজারে
    বর্তমান | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: জুটমিল চালুর সঙ্গে সঙ্গে জগদ্দল, কাঁকিনাড়া এলাকায় বসতি গড়ে উঠেছিল। বাঙালিদের সঙ্গে সেখানে বাস করতেন অন্য রাজ্যের বাসিন্দারাও। তাঁদেরই যৌথ উদ্যোগে কাঁকিনাড়া বাজারে শুরু হয় মুম্বইয়ের মতো গণপতি বাপ্পার আরাধনা। এই কাঁকিনাড়া বাজারে গণেশ পুজোর বয়স দেড় শতাধিক বছরেরও বেশি। বছরের পর বছর মহা সমারোহে সেই পুজো হয়ে চলছে। বড় প্রতিমা, আলোর রোশনাই, দুঃস্থদের বস্ত্রদান, নরনারায়ণ সেবা– সবই হয় আড়ম্বরের সঙ্গে। শুধু কাঁকিনাড়া বাজারের ওই পুজো নয়, কাছারি রোড, স্টেশন রোড থেকে শুরু করে একাধিক পুজো হচ্ছে কাঁকিনাড়া এলাকায়। তবে এই গণেশ পুজোকে ঘিরে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। মঙ্গলবার কাছারি রোডের একটি পুজো উদ্বোধন করতে এসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই নিয়েও এক সময়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একমাত্র এই পুজোটিই এখন বিজেপি তথা প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দখলে রয়েছে। বাকি সব পুজোই চলে গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের দখলে।  গণেশ পুজোকে কেন্দ্র করে কাঁকিনাড়া, জগদ্দল এলাকায় রীতিমতো ক্ষমতা প্রদর্শন চলছে। একাধিক পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন সোমনাথ শ্যাম। বুধবার সন্ধ্যায় সদলবলে কমপক্ষে ১৫টি পুজো মণ্ডপ ঘুরে বেড়ালেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভাটপাড়া, জগদ্দল এলাকায় সাড়ম্বরে গণেশ পুজো হয়। কিন্তু ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে তার পরিধি বেড়ে গিয়েছে। এখানে সর্বাধিক প্রাচীন বলে পরিচিত কাঁকিনাড়া বাজার কমিটির পুজো। এর সম্পাদক ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য অমিত গুপ্তা বলেন, আমাদের পুজো দেড়শো বছরের পুরনো। এই পুজোটিই প্রথম শুরু হয়েছিল কাঁকিনাড়ায়। কাঁকিনাড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা শুরু করেছিলেন। এখন এটি গোটা এলাকার পুজো হয়ে গিয়েছে। এছাড়া প্রভাত সেবা সঙ্ঘ, মানব সেবা সঙ্ঘ সহ অন্যান্য পুজোতে বড় প্রতিমা, বড়  করে সব আয়োজন করা হচ্ছে। ভিড়ও হচ্ছে খুব।  সেই সঙ্গে টিটাগড়, বারাকপুর, কাঁচরাপাড়া এলাকাতেও জোরকদমে চলছে গণেশ পুজো। শিউলিতেও হয়েছে বড় পুজোর আয়োজন। বারাকপুর পিস ক্লাবের চতুর্থ বর্ষের পুজোর উদ্বোধন করলেন পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস। জাঁকজমক হচ্ছে জিসি রোডের ইয়ং স্টার ক্লাবের পুজোতেও। কাঁচরাপাড়াতেও একাধিক গণেশ পুজো হচ্ছে। উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। আর কয়েক মাস বাদেই বিধানসভার ভোট। তাই গণেশ পুজোকে জনসংযোগের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)