ছেলেকে ছোবল, গোখরোকে কৌটোয় পুরেই সটান হাসপাতালে ছুটলেন বাবা
বর্তমান | ২৮ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, বনগাঁ: বৃষ্টিতে জলমগ্ন বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটার বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়ছে সাপের উপদ্রব। বুধবার গোপালনগরে একটি গোখরো সাপ ছোবল দেয় দশ বছরের একটি বালকে। সাপটি কৌটোয় ভরে হাসপাতালে নিয়ে যান শিশুর বাবা। ছেলেটি চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে বাগদা ব্লকের কনিয়ারা এক নম্বর পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুরে কালাচ সাপের কামড়ে এদিন মৃত্যু হয়েছে তেরো বছরের এক কিশোরের। তার নাম সাকিবুল বিশ্বাস। বনগাঁ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন একাধিক সাপে কাটা রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। বুধবারও কয়েকজন ভর্তি হয়েছেন। সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত এইসব এলাকার বাসিন্দারা। গোপালনগর থানার কামদেবপুরে বাড়ি দশ বছরের তামিম মণ্ডলের (১০)। সে বর্তমানে বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সকালবেলা ছেলেটি বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিল বাড়ির পাশেই একটি জলা জমিতে। সে সময় একটি গোখরোর বাচ্চা তাকে ছোবল দেয়। তামিম বাড়ি এসে বিষয়টি জানায়। তখন তার বাবা জাহিরুল মণ্ডল বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু প্রতিবেশীরা তৎপর হয়ে সাপটিকে ধরে ফেলেন। আর একটি প্লাস্টিকের কৌটোয় ভরে আটকে রাখেন। তামিমের বাবা বাড়ি ফিরে ছেলেকে ও সাপ নিয়ে যান হাসপাতালে। জ্যান্ত সাপ কৌটোয় বন্দি দেখে হকচকিয়ে যান চিকিৎসক ও কর্মীরা। তারপর বালকের চিকিৎসা শুরু করেন। জাহিরুল মণ্ডল বলেন, ‘ছেলের মাছ ধরার নেশা। বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশে জলে গিয়েছিল। সেখানে সাপ কামড় দেয়।’ বাগদার ঘটনাটির ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সাকিবুল। কারণ বুঝতে না পারছিলেন না কেউ। তারপর সাকিবুলের বালিশের নীচে একটি কালাচ সাপকে দেখতে পান। সবাই নিশ্চিত হন সাকিবুলকে সাপে কামড়েছে। তাকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাঁচানো যায়নি। নিজস্ব চিত্র