• স্কুলের রাস্তায় জল, খানাকুলের অনেক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা স্থগিত
    বর্তমান | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: ডিভিসির ছাড়া জলে টানা কয়েকদিন ধরে প্লাবিত খানাকুলের নিচু এলাকাগুলি। তার জেরে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। রাস্তায় জল জমে থাকায় একাধিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থগিত হয়ে গিয়েছে প্রাথমিকের দ্বিতীয় পর্যায় ক্রমিক মূল্যায়ন। তবে বুধবার ডিভিসি গত কয়েকদিনের তুলনায় জল ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কমিয়েছে। সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ডিভিসি ৫৯ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। এছাড়া রূপনারায়ণ নদের জলস্তরও কিছুটা কমেছে। এদিন সেখানে জলস্তর ছিল ৬.৩৯ মিটার। এছাড়া আরামবাগ মহকুমার দ্বারকেশ্বর, দামোদর ও মুন্ডেশ্বরী নদীতে জলস্তর কিছুটা কমেছে। খানাকুল ২-এর বিডিও মহম্মদ জাকারিয়া বলেন, ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কমিয়েছে। কিন্তু নিচু এলাকাগুলিতে যে জল রয়েছে তা নামতে আরেকটু সময় লাগতে পারে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। খানাকুল ২ ব্লকের মারোখানা উত্তর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৯ জন পড়ুয়া রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন তিনজন। গত সোমবার থেকে সেখানে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির দ্বিতীয় পর্যায় ক্রমিক মূল্যায়ন শুরু হয়। কিন্তু স্কুলের সামনে গত কয়েকদিন ধরে জল জমে রয়েছে। তাই সেখানে স্কুল বন্ধ রেখে পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক বিধানচন্দ্র পাত্র বলেন, স্কুলের রাস্তায় প্রায় কোমর সমান জল। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। 

    মারোখানায় রয়েছে শ্যাম মাজি বন্দর পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানেও প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া রয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে জল পেরিয়ে স্কুলে যান শিক্ষকরা। পড়ুয়াদের আসতেও সমস্যায় পড়তে হয়। বুধবার থেকে সেই স্কুলও ছুটি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থগিত হয়েছে পরীক্ষা। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিহর হাজরা বলেন, মারোখানা থেকে স্কুল পর্যন্ত রাস্তায় জমে থাকায় যাতায়াত নিয়েই সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। জল পেরিয়ে পড়ুয়াদের যাতায়াত যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। ট্রাক্টরে চলাচল করতে দীর্ঘ সময়ও লাগছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এদিন এলাকায় জল সামান্য কমেছে। কিন্তু তার আগেই স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতির কথা শিক্ষাদপ্তরকে জানানো হয়েছে। পরে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তাঁর দাবি, মারোখানা থেকে পানশিউলি পর্যন্ত রাস্তাও নিচু। ফলে টানা দু’ মাস ধরে ধাপে ধাপে সেই রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। এক্ষেত্রে রাস্তা উঁচু করার উদ্যোগ নিলে সুরাহা মিলতে পারে। 

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি চলছে। কিন্তু মারোখানা পঞ্চায়েত এলাকায় ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। যদিও ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, কেউ বঞ্চিত হবেন না। জল নেমে গেলেই ফের সেখানে শিবির হবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)