• ডেঙ্গু রুখতে ড্রোন উড়িয়ে সমীক্ষা বাঁকুড়া পুরসভার
    বর্তমান | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: ডেঙ্গু মোকাবিলায় বুধবার ড্রোন উড়িয়ে বাঁকুড়া শহরে নজরদারি চালানো হয়। এদিন রাজ্য নগরন্নোয়ন সংস্থার(সুডা) দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল বাঁকুড়া আসে। স্থানীয় কাউন্সিলার ও পুরসভার আধিকারিকদের নিয়ে প্রতিনিধিরা ১৭ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে যান। সেখানে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চলে। বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেনমজুমদার বলেন, বাড়ি বা অফিস-কাছারিতে জল যাতে না জমে তা দেখার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে। পুরসভা এলাকায় জায়গা কিনে অনেকেই ফেলে রাখছেন। সেখানে জল জমছে। সেগুলিও পরিষ্কার করার জন্য জায়গার মালিকদের কাছে আমরা আবেদন করেছি। এদিন সুডা থেকে দু’জন শহরে এসেছিলেন। তাঁরা ড্রোন উড়িয়ে শহরের দু’টি ওয়ার্ডের পরিস্থিতি ক্যামেরাবন্দি করেছেন। ওই প্রতিনিধিদল রাজ্যে গিয়ে রিপোর্ট জমা দেবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় বাঁকুড়া শহরে এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অনেক কম। পুরসভার ধারাবাহিক নজরদারির ফ঩লেই আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আগামী দিনেও এই নজরদারি জারি থাকবে। 

    পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত বাঁকুড়া শহরে ১৫জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা সকলেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদিন যে দু’টি ওয়ার্ডে রাজ্যের প্রতিনিধিদল গিয়েছিল তারমধ্যে ২০নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। ১৭নম্বর ওয়ার্ডের সবচেয়ে বেশি সরকারি অফিস রয়েছে। ফলে ওই দু’টি ওয়ার্ডকে নজরদারির জন্য বেছে নেওয়া হয়। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বর্তমানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালাচ্ছেন। গৃহস্থের বাড়িতে জল জমছে কি না তা তাঁরা চাক্ষুষ করছেন। তবে সরকারি অফিস-কাছারির ক্ষেত্রে সেই সুযোগ কম। বহু দপ্তরের ভবনের ছাদে ওঠার সিঁড়ি নেই। কোনও কোনও অফিসে কড়াকড়িও রয়েছে। ফলে ছাদে জল জমছে কি না তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখা সম্ভব হয় না। সেখানে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো এদিন কর্মী-আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি ও সমীক্ষকরা ওই এলাকায় যান। তাঁরা ক্যামেরায় ওঠা ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। ২০নম্বর ওয়ার্ড থেকে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তাই সেখানে এদিন অধিকারিকরা গিয়ে ওয়ার্ডের জলমগ্ন এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। ড্রোন উড়িয়ে বহুতলের উপরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়।

    পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, চেয়ারম্যান, ভা‌ইস চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলাররা এবার মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন। কেউ পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে বাধা দিলে বা সহযোগিতা না করলে কাউন্সিলাররা প্রতিবাদ করছেন। পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দিলীপ আগরওয়াল কিছুদিন আগে ফাঁসিডাঙা সুকান্তপল্লি এলাকায় গিয়ে কয়েকজনকে সমঝে দিয়ে আসেন। দিলীপবাবু বলেন, আমি স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি ঘুরেছি। অসহযোগিতা করায় কয়েকজনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)