• অতিবৃষ্টিতে ফসল ও রাস্তার ক্ষতি নিয়ে বৈঠকে প্রশাসন
    বর্তমান | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সামগ্রিক উন্নয়নের নিরিখে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন। এরপরই তড়িঘড়ি বুধবার দফায় দফায় বৈঠক সারলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়। প্রথমেই এডিএম সহ মহকুমা শাসক ও বিডিওদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক। পরবর্তীতে সার্কিট হাউজে বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক সারেন। এসআরডিএ চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল সহ জেলা প্রশাসনের একাধিক দপ্তরের আধিকারিকরাও সেই বৈঠকে ছিলেন। এদিনের ম্যারাথন বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতির জেরে ক্ষতি সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়। তবে শুধু ফসলের ক্ষতি নয়, বর্ষণজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও বাড়ির তালিকা প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও তোড়জোড় শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসনের অন্দরমহলে।

    বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার লাভপুর সহ নলহাটি ও নানুরে ফসলের যথেষ্টই ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও জেলার অন্য প্রান্তেও বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। বৈঠক শেষে জেলাশাসক বলেন, একাধিক বিষয় সামনে রেখে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। অতি বর্ষণজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি সহ ফসলের পরিমাপ প্রস্তুত করা হচ্ছে। রাস্তা সহ সেতু ও কালভার্টের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাবতীয় রিপোর্ট অতি দ্রুত নির্দিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। সেইসঙ্গে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্প নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে।  চলতি বর্ষার মরশুমে শুরুতেই ভারী বৃষ্টির জেরে জেলার একাধিক জায়গায় নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার জেরে ফসলের ক্ষতির পরিমাণও যথেষ্ট। যদিও সঠিক কত পরিমাণ ফসল নষ্ট হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক্ষেত্রে জেলাশাসকের তরফে প্রতিটি ব্লক থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। শস্য বিমার আওতায় যাতে চাষিরা ক্ষতিপূরণ পান সে বিষয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে ভারী বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত মাটির বাড়ির তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যে জেলাজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার পরিমাপের কাজ শেষ  হয়েছে। 

    জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, বীরভূমের গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ১৬০ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও শহুরে এলাকায় প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত সেসব রাস্তা সংস্কারের ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এদিনের বৈঠকে অন্যতম ইস্যু ছিল তিলপাড়া ব্যারেজ। পুজোর আগেই ব্যারেজের উপরে থাকা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু করা যায় কি না তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গেও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, অনেক ধান নষ্ট হয়েছে জেলায়। লাভপুর, নলহাটিতে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাষিরা যেন ন্যায্য মূল্যে ধান নষ্টের টাকা পান সেসব আলোচনা হয়েছে। তিলপাড়া ব্যারেজ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দিন পনেরোর মধ্যে সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)