সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: গত লোকসভা ভোটে অমিত শাহের ডেপুটিকে বিপুল ভোটে হারিয়ে কোচবিহার লোকসভা আসন পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই জয়ের পুরস্কার হিসেবে ব্লক সভাপতিদের উপরেই আস্থা রাখল নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার কোচবিহার জেলার তৃণমূলের ২২টি সাংগঠনিক পদে নতুন ব্লক সভাপতিদের নামের তালিকা ঘোষণা করে রাজ্য নেতৃত্ব। তাতে জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকের ব্লক সভাপতি পদে রদবদল করা হয়েছে। তবে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে থাকা ব্লকগুলির সভাপতি পদে কোনও রদবদল করা হয়নি। এর মধ্যে কেবল কোচবিহার-২ ব্লকে সভাপতি পদে কোনও নাম ঘোষণা করা হয়নি।
কোচবিহার জেলায় বিধানসভা আসন ৯টি। কিন্তু এর মধ্যে কোচবিহার লোকসভা আসনে ৭টি বিধানসভা রয়েছে। বাকি দু’টি আসনের মধ্যে একটি জলপাইগুড়ি ও অন্যটি আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। একুশের বিধানসভা ভোটে এই লোকসভা আসনে ৭টি বিধানসভার মধ্যে কেবল সিতাই আসনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী। বাকি আসনে জয় পান বিজেপির প্রার্থীরা। তবে দিনহাটা আসনে উপনির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল। ৭টি আসনের মধ্যে মাত্র দু’টি বিধানসভা নিজেদের দখলে থাকলেও, চব্বিশের লোকসভা ভোটে প্রায় ৩৮ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী।
লোকসভা ভোটে শুধু দিনহাটার সিতাই ও দিনহাটা বিধানসভা থেকে সব মিলিয়ে ৪৬ হাজারের বেশি লিড পায় তৃণমূল। এর মধ্যে সিতাইতে ২৮ হাজারের বেশি ও দিনহাটা থেকে ১৮ হাজারের বেশি ভোটে লিড পায় তৃণমূল। বাকি নাটাবাড়ি, শীতলকুচি, মাথাভাঙা, কোচবিহার দক্ষিণ ও উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতেও একুশের বিধানসভার ভোটের থেকে অনেকটাই ভালো ফল করে শাসকদল।
ফলে লোকসভা ভোটে হারানো আসন পুনরুদ্ধার করার পুরস্কার হিসেবে ব্লক সভাপতি পদে কোনও রদবদল করা হয়নি বলেই মত জেলার রাজনৈতিক মহলের। এবিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, লোকসভায় আমরা হারানো আসন উদ্ধার করতে পেরেছি। এটা আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ফল। ব্লক সভাপতি রাজ্য নেতৃত্ব করে। তাই সবকিছু ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়েই তারা সেটা করেছে।
যদিও বিজেপির জেলা নেতা বিরাজ বসু বলেন, তৃণমূল লোকসভা ভোটের জয়ের আনন্দ নিয়েই মেতে থাকুক। বিধানসভা ভোটে তাদের জেতা আসনগুলিও এবার ধরে রাখতে পারবে না। শুধু সময়ের অপেক্ষা।