• মাছ খাওয়া নিয়ে বিবাদ! বাংলার শ্রমিক ‘খুন’ ওড়িশায়, তিনদিন পর জঙ্গল থেকে উদ্ধার দেহ
    প্রতিদিন | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ওড়িশায় খুন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক। তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর জঙ্গল থেকে উদ্ধার শ্রমিকের দেহ। মাছ নিয়ে বচসার জেরে খুন বলে অনুমান।ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার বরহমপুর পুরুষোত্তমপুরে। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ওড়িশা পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে বলে খবর। শোকের ছায়া মৃতের পরিবারে।

    মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম লোকমান শেখ। বয়স ৪৫ বছর। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ থানার পশ্চিম দেবীদাসপুরের বাসিন্দা। মাস দুয়েক আগে দাদনের কাজে পশ্চিম দেবীদাসপুর থেকে রাজমিস্ত্রির কাজে ওড়িশার বহরমপুরের পুরুষোত্তমপুরে গিয়েছিলেন। বুধবার বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। পরিবর্তে বুধবার সকালেই বাড়িতে এল তাঁর মৃত্যু সংবাদ।

    পরিবারের অভিযোগ তাঁর দুই সহকর্মী রহিম ও নিত্য কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। পরিবারের একমাএ রোজগারের স্বামীকে হারিয়ে চিন্তায় স্ত্রী লালবানু বিবি। পাঁচ সন্তানকে নিয়ে কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে চিন্তায় তিনি। লালবানু বলেন, “স্বামীর সঙ্গে রবিবার বিকেলে শেষবারের মতো কথা হয়েছিল। বুধবার বাড়ি ফিরে আসবে বলল। কিন্তু রবিবার রাত থেকে স্বামীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারিনি। সকালে খবর পেলাম জঙ্গলের ভিতরে ওর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। কুড়ুল দিয়ে ওকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে।”

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় দুই পরিচিত ব্যক্তি লোকমানকে কাজে নিয়ে যায়। পুরুষোত্তমপুরে একটা রুমে চারজনের সঙ্গে থাকতন লোকমান। সেখান থাকতেন পশ্চিম দেবীদাসপুরেরই বাসিন্দা রহিম ও নিত্য। রবিবার রাত থেকে খোঁজ না পাওয়ায় আবাসনের নাইট গার্ডের কাছে ফোন করেন পরিবারের লোক। গার্ড জানিয়েছেন, রবিবার রাতে দু’জনের সঙ্গে লোকমানের ঝামেলা হয়। মাছ খাওয়া নিয়ে তাঁদের ঝামেলা হয়।

    পরিবারের অভিযোগ, দু’জন লোকমানকে প্রচণ্ড মারধর করে। তারপর টানতে টানতে ওরা দু’জন রুম থেকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। মৃতের শ্যালক বলেন, “ওখানকার পুলিশ জামাইবাবুর সঙ্গে রুমে থাকা দু’জন শ্রমিককে আটক করেছে।” ময়নাতদন্তের পর দেহ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে মুর্শিদাবাদ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)