• পারিবারিক শত্রুতার জের! দেওরের নাবালিকা মেয়েকে পাচার ও ধর্ষণে মদত জেঠিমার
    প্রতিদিন | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: পারিবারিক শক্রতার জের। দেওরের নাবালিকা মেয়েকে পাচার  ও ধর্ষণে মদত জেঠিমার। নারকীয় এই ঘটনার সাক্ষী বাঁকুড়া জয়পুর। এই ঘটনায় বুধবার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় নাবালিকার জেঠিমা পারুল মল্ল মেটে, তার প্রেমিক আসগর আলি দালাল এবং জয়দেব মণ্ডল। অতিরিক্ত দায়রা বিচারপতি অনুরুদ্ধ মাইতি সাজা ঘোষণা করেন। পারুলকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। এছাড়াও আসগর আলি দালালকে পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং জয়দেব মণ্ডলকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫৫ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তি দেন বিচারক। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ২৩ এপ্রিল ১৩ বছরের ওই নাবালিকাকে তার বাবা-মা পড়াশোনা না করার জন্য বকাবকি করেন। সেই সুযোগে, পারিবারিক শক্রতায় নাবালিকাকে পাচারের ছক কষে পারুল। নাবালিকাকে বকুনির হাত থেকে রেহাই দেওয়ার টোপ দিয়ে তারকেশ্বরে নিয়ে যায় সে। সেখানেই নাবালিকাকে প্রেমিক আসগরের হাতে তুলে দেয়।তারকেশ্বর থেকে আসগর নাবালিকাকে ট্রেনে হাওড়া নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাড়িতে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে।

    পরেরদিন ওই নাবালিকাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা জয়দেব মণ্ডলের হাতে তুলে দেয় আসগর। এরপরেই পারুল, আসগর এবং জয়দেব গা ঢাকা দেয়। ওই নাবালিকাকে নিয়ে জয়দেব বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে পালায় বলে জানা গিয়েছে। এরপর জয়পুর থানার পুলিশ পারুলকে গত বছর ২৫ জুলাই জয়পুর থেকে গ্রেপ্তার করে। এর তিনদিন পরে বাংলাদেশ বর্ডারের কাছ থেকে জয়দেবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার একদিন পরে হাওড়ার আনন্দপুর থেকে গ্রেপ্তার হয় আসগর।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আসগরের বাড়ি জয়পুর থানার বড় আঙারিয়ায়। প্রায় ৪ বছর ধরে হাওড়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং কারখানায় কাজ করে। জয়দেব মণ্ডলের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের আট্টবেরিয়া এলাকায়। এক বছর ধরে মামলা চলার পর এদিন তিনজনকেই দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয় আদালত।
  • Link to this news (প্রতিদিন)