• ছুরি হাতে স্ত্রীকে তাড়া, আর্ত চিৎকার যুবতীর, খাস কলকাতায় ভরা রাস্তায় রক্তস্রোত, তারপর...
    আজকাল | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ব্রাহ্মণপুর এলাকায় হাড়হিম করা কাণ্ড। রাস্তা দিয়ে ছুটছেন এক মহিলা। তাঁর পিছনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছুটছেন এক ব্যক্তি। স্থানীয়রাও বুঝে উঠতে পারেননি কী হচ্ছে। সবাই হতভম্ব হয়ে যান। এদিকে, কিছু সময়ের মধ্যেই ওই মহিলাকে ধরে ফেলে পরপর কোপ বসায় ওই ব্যক্তি। বুধবার সকালের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ কলকাতার ব্রাহ্মণপুর এলাকায়।

    জানা গেছে সম্পর্কে তাঁরা স্বামী–স্ত্রী। ব্রাহ্মণপুর এলাকাতেই বাস তাঁদের। স্ত্রী এলাকায় পরিচারিকার কাজ করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই স্ত্রীকে একাধিক বিষয়ে স্বামী সন্দেহ করছিল বলে অভিযোগ। স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে, সেই বিষয়েও সন্দেহ চলত বলে অভিযোগ। এই বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রবল অশান্তিও হয়েছে। বুধবার সকালে বাড়িতেই স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে তীব্র ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। সে সময় ওই ব্যক্তি ঘরের ভিতরেই ধারালো ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাতের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে নিজেকে বাঁচিয়ে ওই মহিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে রাস্তায় ছুটতে থাকেন।

    অভিযোগ, ছুরি হাতেই স্ত্রীর পিছনে তাড়া করেন স্বামী। সাত সকালে দক্ষিণ কলকাতার ব্রাহ্মণপুর এলাকার রাস্তায় এই ঘটনা দেখে স্থানীয়রাও চমকে যান। কিছুদূর ধাওয়া করে এক চায়ের দোকানের সামনে স্ত্রীকে ধরে রাস্তার উপরেই ওই ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। আক্রমণ করার পরেই অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। রক্তাক্ত ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সঙ্কটজনক বলে প্রাথমিক খবরে জানা গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি।

    এই ঘটনার পর গোটা এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে। আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন। জানা গেছে, সকাল আটটা নাগাদ নাবালক পুত্রের সামনেই এই কাণ্ড ঘটায় ওই ব্যক্তি। 

    এদিকে, গত শনিবার দুপুরে উত্তর কলকাতার বেলেঘাটা থানা এলাকায় ঘটে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সেখানে অভিযোগ ওঠে, ছেলের হাতে মায়ের হত্যা। শনিবার দুপুরে ১টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেলেঘাটা থানায় খবর এসেছিল যে, কবি সুকান্ত সরণির একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধা অচেতন অবস্থায় ঘরে পরে রয়েছেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায় আনুমানিক এক ৬৫ বছর বয়সী মহিলা অচেতন অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পরে রয়েছেন এবং তাঁর মুখ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ওই বৃদ্ধাকে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন এবং বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    পুলিশ জানিয়েছিল, নন্দিতা বসু তাঁর ছেলে মৈনাক বসুর (৩৫) সঙ্গে ওই ঠিকানাতেই একই সঙ্গে বাস করতেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল, ঘটনার দিন সকালে মা ও ছেলের মধ্যে প্রবল বচসা হয় এবং সেই বচসা শারীরিক সংঘর্ষের রূপ নেয়। অভিযোগ, মৈনাক বসুর মারধরের ফলেই নন্দিতা বসুর মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায়শই ছেলে মায়ের সঙ্গে রাগারাগি করে চরম অশান্তি ও মাকে মারধর করতেন। ছেলেকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ।

    ‌ 
  • Link to this news (আজকাল)