স্কুলে যাওয়ার পথে পরিচিত এক তরুণের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন শিক্ষক। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পূর্ব মেদিনীপুরের ওই শিক্ষকের হাত কব্জি থেকে কেটে মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচার করে সেই হাত জোড়া লাগাল এসএসকেএম।
জানা গিয়েছে, কুলবেড়িয়ার বাসিন্দা, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক গোকুলচন্দ্র মুড়া সোমবার সকালে স্কুলে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে ঘটনাটি ঘটে। গোকুলের ডান হাতের কব্জির নীচ থেকে বাকি অংশ কেটে বাদ যায়। তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই শিক্ষককে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো কাটা অংশটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে, বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করে কলকাতায় এসে পৌঁছন গোকুল। ৫৬ বছরের ওই শিক্ষককেপিজির ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করা হয়। এর পরে পিজির প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো ওই দিন বিকেল থেকে শুরু হয় হাত জোড়ার প্রক্রিয়া।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ প্লাস্টিক সার্জারির দেবতনু ভট্টাচার্য, রাজীব কুমার ও তাঁদের দলের সঙ্গে অর্থোপেডিক, কার্ডিয়োথোরাসিক ভাস্কুলার সার্জারি এবং অ্যানাস্থেশিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা একযোগে অস্ত্রোপচার শুরু করেন। প্রায় আট ঘণ্টা চলে সেই অস্ত্রোপচার। হাড়, স্নায়ু-সহ সমস্ত কিছু খুব সতর্কতার সঙ্গে জোড়া হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই শিক্ষকের হাতে রক্ত সঞ্চালন ঠিক মতো শুরু হয়েছে। তবে অনুভূতি ও নড়াচড়া করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে ফিরবে।