পরিত্যক্ত বাড়ি-জমি সাফ করতে বাধা সাপ, বনদপ্তরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজের পরিকল্পনা পুরসভার
বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সাপের আতঙ্কে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের অভিযান ধাক্কা খাচ্ছে। জঙ্গল সাফ করা যাচ্ছে না। সেই কাজে গতি আসছে না। বিভিন্ন পরিত্যক্ত ও বন্ধ বাড়িতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া রোধে অভিযান চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন পুরসভার কর্মীরা। একদিকে সাপের উপদ্রব, অন্যদিকে বেজি কিংবা বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ানোর ভয়। এবার এই ধরনের সমস্যা সমাধানে বনদপ্তরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। সম্প্রতি পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এ কথা জানান ডেপুটি মেয়র ও পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ।
এই সমস্যার বিষয়টি নিয়ে মাসিক অধিবেশনে প্রশ্ন তোলেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ডাঃ মীনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তাঁর ওয়ার্ডে রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিট ও রাধাকান্ত জিউ স্ট্রিটে এমন দু’টি বাড়ি রয়েছে, যেগুলি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে
আছে। কোনও বাড়ি নিয়ে আইনি জটিলতাও রয়েছে। একটি বাড়িতে জঙ্গল তৈরি হয়েছে। সাপের উপদ্রব। স্থানীয় বাসিন্দারাও আতঙ্কিত।
অতীন ঘোষকে তিনি বলেন, আপনি বিষয়টি নিয়ে অবগত। ওই পাড়ায় এর আগে একজন সাপের কামড়ে
আর জি কর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন। স্বাস্থ্যদপ্তর এবং পুরসভার জঞ্জাল সাফাই এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা সেখানে সাফাই অভিযানে যেতে পারেন না। কারণ সাপের ভয়। পাশাপাশি বেজি সহ অন্যান্য পোকামাকড়ও রয়েছে। তারা কামড়ে দিতে পারে।
আবার এলাকাবাসীও মাঝেমধ্যে অভিযোগ করেন, জঙ্গলের জেরে এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। একদিকে সাপ ও অন্যদিকে মশা, সবমিলিয়ে এলাকার মানুষ আতঙ্কে থাকেন। মীনাক্ষীদেবী অনুরোধ জানান, এই বিষয়টি নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন। যদি সাপ ধরার লোক রাখা যায় ভালো হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে অতীন ঘোষ বলেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরাও চিন্তিত। বনদপ্তরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের পরিকল্পনা চলছে, যাতে এমন ধরনের অভিযানে পরিত্যক্ত বাড়িতে কিংবা জঙ্গলে ভরা জমি পরিষ্কারের সময় সাপ ধরার একজন প্রশিক্ষিত কর্মীও পুরসভার টিমে থাকে। তার পাশাপাশি যে পুরকর্মীরা সাফাই অভিযানে যাচ্ছেন, তাদের জন্য সাপের কামড় থেকে বাঁচতে গ্লাভস, বুট-এসবেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।