তেরোটি এক্সপ্রেসের নতুন স্টপেজের তালিকা ঘোষণা, খড়্গপুর ডিভিশন
বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: সামনেই দুর্গাপুজো সহ একাধিক উৎসব। সেই কথা মাথায় রেখে খড়গপুর ডিভিশনে একাধিক ট্রেনের স্টপ পুনরায় চালু করল দক্ষিণ-পূর্ব রেল (খড়গপুর ডিভিশন)। রেলের এই সিদ্ধান্তে খুশি যাত্রীরা। কারণ, বিভিন্ন স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপ দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল যাত্রীদের একাধিক সংগঠন। রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে এই স্টপগুলি চালু হবে। খড়গপুর ডিভিশনের ১৪টি স্টেশনে ১৩টি ট্রেনের স্টপ দেওয়া হচ্ছে। রেলের যাত্রীরা জানাচ্ছেন, পুজোর সময় বহু মানুষ বেড়াতে যায়। স্থানীয় স্টেশন থেকে দূরপাল্লার ট্রেন ধরতে পারলে সুবিধা হবে। তবে ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও বহু ট্রেনে টিকিট মিলছে না।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জলেশ্বর স্টেশনে চারটি এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপ দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে পুরী-দীঘা এক্সপ্রেস ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দাঁড়াবে। একইসঙ্গে বিশাখাপত্তনম–দীঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপ ৫ সেপ্টেম্বর থেকে দেওয়া হচ্ছে। সেকেন্দ্রাবাদ–শালিমার এক্সপ্রেস ৬ সেপ্টেম্বর থেকে, পাটনা–এরনাকুলাম এক্সপ্রেস ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই স্টেশনে দাঁড়াবে।
অপরদিকে, বেলদা স্টেশনে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে দাঁড়াবে পুরী–শালিমার এক্সপ্রেস। মেচেদা স্টেশনে শালিমার–তিরুবনন্তপুরম এক্সপ্রেস ১ সেপ্টেম্বর থেকে দাঁড়াবে। একইসঙ্গে বাস্তা স্টেশনে হৃষিকেশ–পুরী এক্সপ্রেস ও পুরী–হৃষিকেশ কলিঙ্গ উৎকল এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপ ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, রূপসা জংশন স্টেশনে পুরী–শালিমার জগন্নাথ এক্সপ্রেস দাঁড়াবে ২ সেপ্টেম্বর থেকে। পাশাপাশি মার্কোনা স্টেশনে হাওড়া-পুরী- হাওড়া ধৌলি (শালিমার) এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়াবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দীঘা-মালদা টাউন এক্সপ্রেস পাঁশকুড়া, তমলুক ও কাঁথি স্টেশনে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে দাঁড়াবে। অন্যদিকে, উলুবেড়িয়া, বাউড়িয়া ও বাগনান স্টেশনে ১ সেপ্টেম্বর থেকে চক্রধরপুর–হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়াবে। এছাড়া ১ সেপ্টেম্বর থেকে পাঁশকুড়া স্টেশনে হাওড়া–চক্রধরপুর এক্সপ্রেস ও সরডিহা স্টেশনে হাওড়া–টাটানগর স্টিল এক্সপ্রেস দাঁড়াবে। রেলের এক আধিকারিকের মতে, পুনরায় ট্রেনের স্টপ চালু হওয়ায় স্থানীয় যাত্রীদের অনেক সুবিধে হবে। উৎসবের মরশুমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এনিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপদ, আরামদায়ক ও সুবিধাজনক যাত্রা নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। এদিন খড়গপুর শহরের বাসিন্দা রাহুল মুখোপাধ্যায় বলেন, কোনও ট্রেনে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। স্টপগুলি চালু হওয়ায় খুবই উপকার হবে। না হলে ট্রেন ধরতে ব্রেক জার্নি করতে হয়। তখন গাড়ি ভাড়া করা ছাড়া উপায় নেই। যেটা সব পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়।