• আর রেফার নয়, রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে এবার চালু হচ্ছে ইএনটির অপারেশন থিয়েটার
    বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চালু হতে চলেছে নাক-কান-গলার (ইএনটি) অস্ত্রোপচার। তৈরি হচ্ছে বিশেষ পরিকাঠামো যুক্ত অপারেশন থিয়েটার সহ ইএনটি চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা। এর ফলে মহকুমার কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।  

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিশেষ পরিকাঠামো তৈরি করতে খরচ হচ্ছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। নির্মিত হয়েছে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার। বেশ কয়েক ধাপে তৈরি হয়েছে নতুন এক পরিকাঠামো। যেখানে সাধারণ সার্জারির পাশাপাশি কানের মাইক্রো সার্জারিও করা যাবে। শুরুটা কীভাবে? জানা গিয়েছে, প্রায়  বছর তিনেক আগে থেকেই এই পরিষেবা চালুর দাবি উঠেছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফেও স্বাস্থ্যদপ্তরে আবেদন জানানো হয়েছিল। স্বাস্থ্যদপ্তর সেই দাবিতে স্বীকৃতি দেয়। ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এসে পৌঁছেছে। বর্তমানে হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের দুজন চিকিৎসক নিয়মিতভাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই ইএনটি বিভাগ ও অস্ত্রোপচার কেন্দ্র চলবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডা. প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, এতদিন রানাঘাট সহ সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষদের অনেকটা দূরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হতো। এখন তাঁরা অনেকটাই স্বস্তি পাবেন। কারণ বাড়ির কাছে চলে এসেছে উন্নততর চিকিৎসা। আমাদের লক্ষ্য, রোগীদের সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া।

    এদিকে, স্থানীয়দের মতে, নতুন এই পরিষেবা চালু হলে শুধু রানাঘাট নয়, নদীয়া দক্ষিণ ও পার্শ্ববর্তী হুগলি জেলার মানুষও উপকৃত হবেন। চিকিৎসার খরচ কমবে, সেই সঙ্গে কমবে দূরে যাতায়াতের ভোগান্তি। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা শান্তিপুরের বাবুল বিশ্বাস বলেন, আমার কানের অপারেশন হয়েছে একবার। যেহেতু এখানে হয় না, তাই কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে যেতে হয় আমাকে। বড়সড় সমস্যা হলে কলকাতায়। রানাঘাট হাসপাতালেই যদি এই পরিষেবা চালু হয় তাহলে তো আর সমস্যাই থাকে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এই উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা রানাঘাটে চালু করার জন্য। এমনিতেও রানাঘাট হাসপাতাল অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের চেয়ে অনেক উন্নত পরিষেবা দেয়। কবে চালু হবে এই বিশেষ পরিকাঠামো? হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে এই অস্ত্রোপচার কেন্দ্র। সপ্তাহে বেশ কয়েকশো ইএনটি রোগী আসেন। পরিষেবা শুরু হলে মহকুমা ও আশেপাশের এলাকার বহু রোগীর দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটবে এবং জেলা সদর হাসপাতালের উপর চাপও অনেকটাই হ্রাস পাবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)