• গণেশ পুজো থেকেই শারদোৎসবের আবহ, কুমোরটুলিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে
    বর্তমান | ২৭ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: গণেশ পুজো এখন শিলিগুড়িতে সর্বজনীন। পাহাড়েও বাড়ছে এই পুজোর সংখ্যা। যা শিলিগুড়ির কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। আগে শিলিগুড়িতে বিধান মার্কেটের অটোস্ট্যান্ড ও আশ্রমপাড়ার রাজীব মোড়ে গণেশ পুজো হতো। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়ে পুজোর আয়োজন। প্রতি বছরই বাড়ছে পুজোর সংখ্যা। ফলে এখন আর বিশ্বকর্মা নয়, গণেশ পুজোতেই শিলিগুড়িতে শারদোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে যায়। 

    শহরের বিভিন্ন জায়গায় গণেশ পুজো বড় করে হচ্ছে। শিলিগুড়িতে এখন সব মিলিয়ে দু’শোর কাছাকাছি গণেশ পুজো হয়। এই পুজোর কারণে  কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের হাসি চওড়া হয়েছে। শিলিগুড়িতে অনেক জায়গায় বড় করে কয়েকটি জায়গায় থিমের মণ্ডপও তৈরি হয়েছে। জলপাই মোড়, বিধান মার্কেট অটো স্ট্যান্ড, রাজীব মোড়,  হাতিমোড়, কলেজ পাড়া, স্টেশন ফিডার রোড সহ বিভিন্ন বাজার এলাকা ও পাড়ায় এখন গণেশ পুজোর প্রস্তুতির ব্যস্ততা তুঙ্গে। আজ, বুধবার গণেশ চতুর্থী। কুমোরটুলিতে ছিল তাই চূড়ান্ত ব্যস্ততা। 

    কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী পাপাই পাল বলেন, এবার মূর্তির ভালো চাহিদা রয়েছে। বড় আকারে অনেক মূর্তি শিলিগুড়ির বাইরে থেকেও বায়না হয়েছে। এর মধ্যে সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পং যেমন রয়েছে, ময়নাগুড়ি থেকেও পেয়েছি। আমার মতো অন্য শিল্পীরাও বাইরের পুজো উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে বায়না পেয়েছেন। 

    আগে বিশ্বকর্মা পুজোর কিছু প্রতিমা বানিয়ে দুর্গাপুজোর দিকেই মৃৎশিল্পীদের তাকিয়ে থাকতে হতো। এখন গণেশ প্রতিমা তৈরি করে দিতে না দিতেই ব্যস্ত হয়ে পড়তে হবে বিশ্বকর্মা পুজোর প্রস্তুতিতে। তার কয়েকদিন পরেই দুর্গা প্রতিমা নিয়ে ব্যস্ততা বাড়বে। আয় বেড়ে যাওয়া খুশি শিল্পীরা।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)