• দুর্নীতি নিয়ে এবার পাল্টা মোদিকে আক্রমণ মমতার, সরব হলেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে ...
    আজকাল | ২৭ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার কলকাতায় সম্প্রসারিত তিনটি মেট্রো পথের উদ্বোধনে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর ভাষণে বাংলার দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবার বর্ধমানের সরকারি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পরও নম্বর কাটা হচ্ছে। বাংলাকে চোর বলা হচ্ছে। অথচ চোরদের, গদ্দারদের সঙ্গেই মিটিং চলছে। লজ্জা করে না!’

    এরপর নিজের সেই চেনা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মমতা বলেন, ‘লজ্জা, ঘৃণা, ভয়—এই তিন থাকতে নয়। একটা কান কাটা থাকলে আর একটা কান কাটার ভয় থাকে। ওদের দু’টো কানই কাটা! তাই আর ভয় কীসের?’ মমতা  বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমি একথা আশা করিনি। আমি যেমন ওঁর চেয়ারকে সম্মান করি, তাঁরও উচিত আমাদের চেয়ারগুলোকে সম্মান করা। তা না করে কেন বলবেন, বাংলার সবাই চোর! সবচেয়ে বড় চোর তো উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার। যেখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার আছে!'

    এদিন বর্ধমানের মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল মাঠের জনসভা থেকে দুই বর্ধমান জেলার জন্য একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন মমতা। তার মধ্যে পূর্ব বর্ধমানের জন্য ছিল ১৪৫২টি প্রকল্প। এরমধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য বর্ধমান-আরামবাগ রোডে দামোদরের উপর নতুন শিল্প সেতু। উদ্বোধন হওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আসানসোলের কল্যাণপুরে জেলাশাসক এবং পুলিশ কমিশনারেটের নতুন ভবন। এদিনের সভা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কৃষিজমি ও বসত বাড়ির পাট্টা প্রদান করেন এবং বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তিনি উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেন। 

    এদিনও ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার আহ্বান জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবুজ সাথী প্রকল্পে আরও ১২ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে সাইকেল দেওয়া হবে। বর্ধমান থেকে এদিন যা শুরু হল। এদিন এই সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা উল্লেখ করেন। 

    মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, জামাই আদর করে ডেকে এনে এখন লাঞ্ছনা? কেনো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এইভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের? তিনি বলেন, বাংলার পড়ুয়াদের মেধার জন্য গোটা বিশ্ব তাদের সম্মান করে। এদিনের প্রশাসনিক সভা থেকে ফের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে আসার জন্য আহবান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফিরে এলে আগামী এক বছর মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, খাদ্যসুরক্ষা কার্ড পাবেন পাবেন তারা। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি,  তাদের যাতে ভবিষ্যৎ নষ্ট না হয়, তা দেখার দায়িত্ব আমাদের।  স্কিল ট্রেনিং করাব। যে কাজে ওরা পারদর্শী সে কাজই পাবেন। কেউ ব্যবসাও করতে পারেন। কোনও কাজ ছোট নয়। যে প্রকল্প আমরা করেছি, তার নাম শ্রমশ্রী (Shramshree)। কর্মশ্রীর বন্ধু শ্রমশ্রী।’’

    অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, 'পাঁচটা স্কিম বন্ধ। সেগুলোও আমাদের চালাতে হচ্ছে।' তিনি জানিয়েছেন, ৭৬ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায় নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৭৮ শতাংশ শহুরে এলাকায় পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এরজন্য ইতিমধ্যেই ৩৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আরও ৬৫ হাজার কোটি টাকা লাগবে।‌
  • Link to this news (আজকাল)