সুমন করাতি, হুগলি: বড় চমক দিল বাংলার এই মিষ্টি দোকান। ব্যান্ডেলের ওই দোকানে ঢুকে একেবারে চমকে যাচ্ছেন ক্রেতারা। দোকান জুড়ে সাজানো পেল্লায় সাইজের একের পর এক লাড্ডু! যা দেখলে একেবারে চোখ কপালে ওঠার জোগার। একটি লাড্ডুর ওজন ১১ কেজি! কিনবে কে! শুধু ১১ নয়, আছে ৭ কেজি বা ৫ কেজির লাড্ডুও। আসলে গণেশ চতুর্থীকে সামনে রেখেই ক্রেতাদের আকর্ষণ করতেই পেল্লাই সাইজের লাড্ডু বানিয়ে চমক দিলেন ব্যান্ডেলের এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী।
ওই ব্যবসায়ীর কথায়, গণেশ চতুর্থীতে (Ganesh Chaturthi 2025) বেড়েছে লাড্ডুর চাহিদাও। আর সে কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন সাইজ ও দামের লাড্ডু ক্রেতাদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই মিষ্টি বিক্রেতা।
গত কয়েকবছরে শহর এবং শহরতলিতে বেড়েছ গণেশ আরাধনা। পাড়ায় তো বটেই, বহু বাড়িতেও এখন গণেশ পুজো হয়ে থাকে। প্রসাদ হিসাবে পুজোয় মোদক, লাড্ডু দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে এই সময় এই সমস্ত মিষ্টির চাহিদা বাড়ে। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ছোট থেকে বড়, বিভিন্ন আকারের লাড্ডু তৈরি করেছে ওই মিষ্টির দোকান।
দোকানের কর্ণধার শুভেন্দু মণ্ডল জানান, “গত কয়েক বছর ধরে বাংলাতেও এই পূজোয় আগ্রহ বেড়েছে। সেই মতো লাড্ডুর চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে। বড়বড় লাড্ডু চাইছে মানুষ। তাই আমরা নানা আকার ও ওজনের লাড্ডু বানিয়ে বাজারে এনেছি।”
সবথেকে কত বড় লাড্ডু তৈরি করেছে ওই মিষ্টি বিপণি? শুভেন্দুর বাবুর কথায়, ভাণ্ডারে রয়েছে সবথেকে বড় ১১ কিলোর লাড্ডু। এরপর ৭ কিলো, ৫ কিলোর লাড্ডুও কিনতে পারবেন গ্রাহকরা। কিন্তু দাম? শুভেন্দু মণ্ডল জানিয়েছেন, ”যাতে সব শ্রেণির ক্রেতাই পছন্দ মতো লাড্ডু কিনতে পারেন সে কথা মাথায় রেখেই দাম রাখা হয়েছে।”
এতবড় লাড্ডু দেখে কার্যত দোকানে ঢুকে অবাক হচ্ছেন বিক্রেতারাও। লাড্ডু কিনতে আসা এক ক্রেতা শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”এখানে লাড্ডুর বেশ চাহিদা আছে। ভালো চলবে।” আরও এক ক্রেতা রাজু বিকাশ ঘোষ জানিয়েছেন,”বাংলাতেও এখন ঘরে ঘরে গণেশ পুজো হচ্ছে। তিনটি বড় লাড্ডু নিয়েছি।” তবে শুধু লাড্ডুই নয়, গণেশ পূজো উপলক্ষে নানান ধরনের বিশেষ মিষ্টিও প্রস্তুত করেছেন ওই মিষ্টির দোকান। মূলত ক্রেতাদের মুখে নতুন স্বাদ তুলে দিতে ও উৎসবের আনন্দ বাড়াতে এই উদ্যোগ বলেও জানিয়েছেন দোকানের কর্ণধার।