সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বর্ষা বিদায় নিয়েও নিচ্ছে না। এবছর মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় প্লাবন পরিস্থিতি এখনও। বিশেষত নিচু এলাকাগুলি এখনও জলমগ্ন। তবে এই পরিস্থিতিতে ভিলেন যে শুধুই বৃষ্টি, তা নয়। বৃষ্টির জমা জলের দোসর বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া। তাও আবার রাজ্যকে না জানিয়ে। মঙ্গলবার বর্ধমানে প্রশাসনিক কর্মসূচিতে গিয়ে ফের ডিভিসিকে (DVC) নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, ”এবার লাগামছাড়া বৃষ্টি। আর ডিভিসির ছাড়া জল জেলাগুলিতে ভাসিয়ে দিচ্ছে।”
চলতি বর্ষার মরশুমে মাইথন, পাঞ্চেতের মতো জলাধারগুলি থেকে লাগাতার জল ছাড়া হচ্ছে। বাঁধের চাপ কমাতে যখনতখন রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে এমনটা চলছে বলে বারবার অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিসির কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে বাঁধগুলি থেকে জল ছাড়ার আগে যেন জানানো হয় রাজ্যের প্রতিনিধিদের। কিন্তু তারপরও ডিভিসি কাউকে না জানিয়ে জল ছাড়ছে বলে অভিযোগ। আর বৃষ্টির জমা জলের পাশাপাশি এই জলেও নিম্ন এলাকাগুলি প্লাবিত হয়। যেমন এই মুহূর্তে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোণা-সহ নানা এলাকা জলমগ্ন। বাধা পাচ্ছে দুর্গাপুজোর আয়োজন। সেসব নিয়ে আবারও ডিভিসিকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বর্ধমানে প্রশাসনিক কর্মসূচি থেকে তিনি বললেন, ”এবার লাগামছাড়া বৃষ্টি হচ্ছে। আর ডিভিসির ছাড়া জল জেলাগুলিতে ভাসিয়ে দিচ্ছে। ওরা মাইথন, পাঞ্চেত বাঁধ থেকে যেমন ইচ্ছে জল ছাড়ছে। বারবার বলার পরও শুনছে না।” এরপরই তিনি ঘোষণা করেন, বর্ষার জলে যেসব বাড়ি ভেঙেছে, তা মেরামতির জন্য রাজ্য সরকার অর্থ দেবে। জেলাশাসক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিলে তার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ এবং বণ্টন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় স্বভাবতই ক্ষতিগ্রস্তদের মুখে হাসি ফুটেছে। সরকারি অর্থে মাথার ছাদটুকু অন্তত সারিয়ে নেওয়া যাবে।