• চালু বিকেলের ট্রেন, খুশি যাত্রী ও হকারেরা
    আনন্দবাজার | ২৬ আগস্ট ২০২৫
  • নতুন ট্রেনের চাকা গড়াল কাটোয়া-আমোদপুর রেল লাইনে। সোমবার বিকেলে কীর্ণাহার, লাভপুর, আমোদপুর স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই রীতিমতো বরণ করে নেওয়া হল। প্রথমবার বিকেলের ট্রেন পেয়ে খুশি যাত্রী থেকে বিভিন্ন সংগঠন। যদিও দাবি জোরদার হচ্ছে কলকাতা যাওয়া-আসার ট্রেনের। এদিন নির্ধারিত সময় বিকেল ৪টে ২০ মিনিটের প্রায় আট মিনিট পর নতুন ইএমইউ ট্রেনটি কীর্ণাহার স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতেই আবেগ ও উচ্ছ্বাসে ঢাকের বাদ্যি ও সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে ফুল ছিটিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যেই ট্রেনটিকে বরণ করে নেন যাত্রীরা ও বিভিন্ন সংগঠন।

    ট্রেনের গার্ড ও চালকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে দেওয়া হয় পুষ্পস্তবক ও উত্তরীয়। অনেকের হাতেই ছিল জাতীয় পতাকা। কীর্ণাহার স্টেশনে হাজির ছিলেন নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি। পরে লাভপুর স্টেশনেও দেখা যায় একই চিত্র। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতুষ্পুত্র বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকেই। একই রকম ভাবে ট্রেনটিকে বরণ করে নেওয়া হয় আমোদপুর স্টেশনেও।

    এদিন প্রতিটি স্টেশনে হাজির ছিলেন অসংখ্য মানুষ। তাঁরা অনেকেই নতুন ট্রেনের যাত্রী হিসেবে সফর করলেন। ট্রেনের কামরায় প্রথম সফরে নিজস্বী তোলার হিড়িক পড়ে যায়। কয়েকজন যাত্রী প্রথম যাত্রার ছবি মোবাইলবন্দি করেন।কীর্ণাহারের অনিল দাস, কালিকাপুরের বিপুলানন্দ ভট্টাচার্য জানান, আগে তিন জোড়া ট্রেন ছিল সকালে, এবার বিকেলেও চালু হল। যাওয়া-আসার সুবিধা হবে। অন্য দিকে, ট্রেন বৃদ্ধিতে খুশি রেলের হকারেরাও। কীর্ণাহার রেলওয়ে হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি দুর্যোধন সাহা বলেন, “এক বেলা ট্রেনকে কেন্দ্র করে ব্যবসা করার পরে অন্যত্র চলে যেতে হত। এবার সেই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে। আশা করি, বিকেলে ও সন্ধ্যায় ট্রেন আরও বাড়বে।”

    ট্রেনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন জারি রেখেছে আমোদপুর-কাটোয়া প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন, আমোদপুর-কাটোয়া তারাশঙ্কর প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনগুলির সদস্য অরুণ রায়, রাহুল মণ্ডল, সুবীর সেন ও রণদেব দাস জানান, বিকেলের ট্রেন চালু হওয়ায় তাঁরা খুশি। তবে তাঁদের মূল দাবি, কলকাতা যাওয়া-আসা ট্রেন সেটি ফের স্পষ্ট করে দিলেন তাঁরা।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)