রেলিং ভেঙে ঢুকে পড়ছে গবাদি পশু। ভাঙা রেলিংয়ের ফাঁক দিয়ে কেউ কেউ বনের ভিতরে শুকনো কাঠ সংগ্রহ করতেও ঢুকে পড়ছেন। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ক্ষুদিরাম সরণির পাশে গড়ে ওঠা নগরবন ‘শ্রাবণ্য’-এর এমনই পরিস্থিতি। ফলে, ক্ষতি হচ্ছে নগরবনের, অভিযোগ শহরের পরিবেশপ্রেমীদের। বন দফতরের তরফে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
দুর্গাপুর সার্কিট হাউসের সামনে বন দফতর ও আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এডিডিএ) যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠেছে এই নগরবন। সহযোগিতা করছে পুরসভা ও মহকুমা প্রশাসন। এক সময়ে জায়গাটিতে শুয়োর চরে বেড়াত। শুয়োরদের অস্থায়ী খামার হিসেবেও জায়গাটি ব্যবহার করতেন কেউ কেউ। ঝুপড়ি গড়ে শুয়োরদের রাখা হত। সিটি সেন্টারে ঢোকার মুখে জায়গাটি নোংরা হয়ে থাকায় তা নিয়ে অস্বস্তির পরিস্থিতি তৈরি হত। মাঝে এডিডিএ জায়গাটি বেড়া দিয়ে ঘিরে দিলেও, তা বেশিদিন টেকেনি। ফের রেলিং ভেঙে চলতে থাকে বেআইনি ভাবে শুয়োর চাষ।
সার্কিট হাউস গড়ে ওঠার পরে সেই জায়গায় এডিডিএ নতুন করে ইকো পার্ক গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করে। একই সময়ে, বন দফতরের তরফে শহরে নগরবন গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়, সেখানেই নগরবন প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হবে। এলাকায় যে গাছগুলি ছিল, সেগুলির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি, বহু নতুন গাছ লাগানো হয়। সৌন্দর্যায়নের ব্যবস্থা, বসার জায়গা, জলাশয় তৈরি করা হয়। আলোর ব্যবস্থা হয়েছে। গাছ চেনার জন্য ‘কিউআর কোড’ চালু হয়েছে।
কিন্তু আধুনিক এই নগরবনের অন্যতম মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে গবাদি পশুর দল। রেলিং ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ছে তারা। গাছপালা নষ্ট করছে। একটি ঘোড়াও কিছু দিন বনের ভিতরে ঢুকে পড়ছিল। মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে সেটিকে ধরে এনে মালিককে সতর্ক করে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নগরবন যাতে সুরক্ষিত থাকে সে জন্য বিশদ প্রকল্প চূড়ান্ত করা ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে।