পুজোতেও বৃষ্টির শঙ্কা, ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া রোধে উদ্যোক্তাদের জন্য অ্যাডভাইজরি
বর্তমান | ২৬ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি বছর শহরে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কম। সচেতনতা প্রচার বাড়িয়েছে কলকাতা পুরসভা। অভিযোগ, তারপরও হুঁশ ফিরছে না নাগরিক সমাজের একটি বড় অংশের। এবার উৎসবের মরশুমে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ডেঙ্গু নিয়ে সতর্ক থাকতে অ্যাডভাইজরি জারি করল পুর কর্তৃপক্ষ। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। মণ্ডপের বাঁশের মাথায় ও ত্রিপলের ভাঁজে যাতে জল না জমে, পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের তা খেয়াল রাখতে বলেছেন তিনি। তাঁরাও যেন সেগুলি সাফ করে। সেই অ্যাডভাইজরি ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে বরো হেলথ অফিসারদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা সেগুলি বরোভিত্তিক বিভিন্ন পুজোকমিটিগুলিকে বিলি করবেন। জানা গিয়েছে, শহরের ১৬৪৩টি পুজো কমিটিকে সেই অ্যাডভাইজরি পাঠানো হচ্ছে। তবে সেই তালিকায় আবাসনের পুজো বা বাড়ির পুজোগুলি নেই।
পুরসভার তথ্য বলছে, গত বছরের (২০২৪) ১৭ আগস্ট পর্যন্ত শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯১। এবার সেটাই বেড়ে হয়েছে ৩৪৩। পুর স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, এই সময়টা ডেঙ্গুর মশার বংশবৃদ্ধির মরশুম। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লাগাতার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেটা স্বাভাবিক। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে যা দেখা যাচ্ছে, তাতে আক্রান্তের সংখ্যা গতবারের তুলনায় কম। তার উপর দুর্গাপুজোর সময়ও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই মণ্ডপগুলিতে যদি জল জমে থাকে, সেখানে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশার ডিম পাড়ার আদর্শ পরিবেশ হয়ে উঠবে। তাই পুজো কমিটিগুলিকে মণ্ডপের আশপাশ পরিষ্কার রাখতে বলা হচ্ছে। এই আবহে অতীন নিজেও বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ও প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। আজ, মঙ্গলবার তিন নম্বর ওয়ার্ডের গুরুদ্বারায় যাবেন তিনি। সেখানে কোথাও জল জমে রয়েছে কি না, সেসব দেখবেন। তারপর টালা পার্ক প্রত্যয় ও বেলগাছিয়া সর্বজনীনের মণ্ডপও ঘুরে দেখবেন। ডেপুটি মেয়র বলেন, সতর্ক থাকতে হবে। সচেতনতা চালিয়ে যাওয়া হবে। পুজো উদ্যোক্তাদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। মণ্ডপের আশপাশে যেন কোথাও জল জমে না থাকে। তাহলে জমা জলে ডেঙ্গুর মশা জন্মাবে। সেগুলি যেন না হয় তা নজরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে বাঁশের মাথার কাপড় জড়িয়ে রাখতে হবে যাতে জল জমতে না পারে।